বাংলাদেশ সীমান্তে নাইট ভিশন ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করছে ভারত

ভারত, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-11-11 20:00:48

ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় নাইট ভিশন ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার শুরু করেছে। 

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) উত্তরবঙ্গ সীমান্ত সেনারা পরীক্ষামূলকভাবে এটি ব্যবহারের কথা জানায়। সীমান্তের অবৈধ ব্যবসায়ীদের ধরার উদ্দেশ্যে এই ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানান তারা।

শনিবার (১১ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম লাইভ মিন্টের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে আন্তঃসীমান্ত অপরাধ মোকাবিলায় সফলভাবে একটি অনন্য অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

বিএসএফের এক পোস্টে অপারেশনের ভিডিও শেয়ার করে বলা হয়েছে, ‘আন্তঃসীমান্ত অপরাধ মোকাবিলায় একটি কৌশলগত এবং প্রশংসনীয় পদক্ষেপের অংশ হিসেবে 6 bn@BSFNBFTR–এর সৈন্যরা নাইট ভিশন ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করে সফলভাবে একটি অনন্য অপারেশন চালিয়েছে।

এই অভিযানে ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাকারবারিদের হাত থেকে তিনটি গবাদিপশু উদ্ধার করেছে তারা।

ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) মানবপাচারকারী নেটওয়ার্কগুলোর সন্ধানে অভিযান শুরুর কয়েক দিন পরে বিএসএফের এই ‘অনন্য অভিযান’ পরিচালিত হলো। বিএসএফ এবং রাজ্য পুলিশ বাহিনীর সমন্বয়ে গত ৮ নভেম্বর কাউন্টার টেরোর এজেন্সি এ অভিযান পরিচালনা করে।

এর আগে গুয়াহাটি, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু এবং জয়পুরের এনআইএ শাখায় চারটি মানবপাচারের মামলা নথিভুক্ত করা হয়। এরপরে সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থা ৫৫টি স্থানে একযোগে অভিযান ও তল্লাশি চালায়। এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে—ত্রিপুরা, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা, হরিয়ানা, রাজস্থান, জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং পদুচেরি। 

অভিযানে এনআইএ মানবপাচারকারী চক্রের মোট ৪৪ সদস্যকে আটক করেছে বলে দাবি করেছে। এর মধ্যে ২১ জন ত্রিপুরার, ১০ জন কর্ণাটকের, পাঁচজন আসামের, তিনজন পশ্চিমবঙ্গের, দুজন তামিলনাড়ুর এবং পদুচেরি, তেলেঙ্গানা ও হরিয়ানার একজন করে। 

অভিযানে এনআইএ মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, পেনড্রাইভ, আধার কার্ড এবং প্যানকার্ডসহ পরিচয়পত্র সংক্রান্ত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জাল নথি জব্দ করে। পাশাপাশি ২০ লাখ রুপির বেশি নগদ অর্থ এবং ৪ হাজার ৫৫০ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রা জব্দ করেছে। 

উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর প্রথম মামলাটি আসাম পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স নথিভুক্ত করে। ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে রোহিঙ্গাসহ অবৈধ অভিবাসীদের অনুপ্রবেশ এবং মানবপাচার নেটওয়ার্কের সঙ্গে মামলাটি সম্পর্কিত বলে জানিয়েছে এনআইএ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর