সিকিমে আটকে আছে ৪০০০ পর্যটক, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৭

ভারত, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম | 2023-10-08 16:43:50

গত দুই দিন ধরে ভারতের গ্যাংটক, পেলিং এলাকা থেকে প্রচুর পর্যটক সমতলে নেমে গেছেন। তবে উত্তর সিকিম তথা লাচেন, লাচুং থেকে পর্যটকদের রবিবারও (৮ ) ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি বলে সিকিম প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। এর কারণ, বৃষ্টিপাত এবং খারাপ আবহাওয়া।

এদিকে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শতাধিক উদ্ধারকারী শনিবার ভোরে আরও ছয়টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে, এতে করে মৃতের সংখ্যা ৪৭ জনে পৌঁছেছে। এ ছাড়াও অন্তত ১৫০ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা।

সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারসহ অন্তত পাঁচটি হেলিকপ্টার মঙ্গনে মোতায়েন করা রয়েছে। তবে সেগুলো বৈরি আবহাওয়ার কারণে রবিবারও কাজে লাগানো যায়নি। সেনাবাহিনী এবং সিকিম সরকার পুরো বিষয়টি দেখছে বলে জানিয়েছে ইকোনোমিক টাইমস।

সিকিম সরকারের পক্ষ থেকে শনিবার বলা হয়েছে, পর্যটকেরা সেখানে সুরক্ষিত রয়েছেন। হোটেল, গেস্ট হাউস, সরকারি ভবনগুলোতে খরচ ছাড়াই পর্যটকদের থাকা-খাওয়ার সকল ব্যবস্থা করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

তবে গত কয়েক দিনে তাঁদের উদ্ধারের তেমন কার্যকরী ব্যবস্থা না হওয়ায় সমস্যা বাড়ছে। কারণ, রাস্তার যা পরিস্থিতি, তাতে ওই সব অংশে পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছে না। খারাপ আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টার নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, উত্তর সিকিমের লাচুং ও লাচেন এলাকায় দেড় হাজারের মতো পর্যটক আটক রয়েছেন এখনও। যদিও, বেসরকারি হিসাবে বিভিন্ন ভ্রমণ সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংখ্যাটা আড়াই হাজারের কাছাকাছি।

প্রশাসন এবং ভ্রমণ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, অন্তত ১,৫৭০টির মতো গাড়ি পর্যটকদের নিয়ে গত কয়েক দিনে সিকিম থেকে নেমেছে। সেই সব গাড়িতে শ্রমিক, পড়ুয়া, স্থানীয় কিছু মানুষও নেমেছেন। সব খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে, পুরো সিকিমে আটকে থাকা পর্যটকের সংখ্যা প্রথমে যতটা মনে করা হচ্ছিল, প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি। সিকিমে এখনও চার হাজারের কাছাকাছি পর্যটক আটকে রয়েছেন বলে ওই সব সংস্থার দাবি।

হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সদস্যদের একটি দল রবিবার কালিম্পংয়ে বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখে এসেছে। বিস্তারিত খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছে তারাও।

সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল এ দিন বলেন, ‘এখনও পর্যটকদের উদ্ধার করার কাজ সেভাবে শুরু করা যায়নি। সেটাই চিন্তার। তবে তারা নিরাপদেই রয়েছেন। আত্মীয়-পরিজনেরা যারাই ফোন করছেন, তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছি আমরা। সিকিম সরকারের পক্ষ থেকে সেটাই জানানো হয়েছে।’

অন্যদিকে, শিলিগুড়ি-সিকিম ‘লাইফলাইন’ ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন অংশ সংস্কারের চেষ্টা করা হচ্ছে। চুংথাংয়ে এদিন সরকারি উদ্ধারকারী দলের কয়েক জন পৌঁছেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তাদের সঙ্গে মন্ত্রী সামডুপ লেপচাও রয়েছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর