ফুরিয়ে আসছে পেট্রোল, সতর্ক করলেন শ্রীলঙ্কার জ্বালানিমন্ত্রী

এশিয়া, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-31 23:57:04

৭০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা। দেশটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র জ্বালানি সংকট। এমন পরিস্থিতিতে দ্বীপরাষ্ট্রটির জ্বালানিমন্ত্রী কাঞ্চনা উইজেসেকেরা পেট্রোলের মজুত ফুরিয়ে আসছে বলে কঠোর সতর্কতা জারি করেছেন।

সোমবার (০৪ জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

শ্রীলঙ্কার জ্বালানিমন্ত্রী বলেন, শ্রীলঙ্কায় প্রতিদিন জ্বালানির যে চাহিদা সে বিবেচনায় আমাদের কাছে একদিনেরও কম পেট্রোল রয়েছে। তিনি আরও বলেন, পরবর্তী পেট্রোলের চালান পেতে দুই সপ্তাহের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে।

গত সপ্তাহে শ্রীলঙ্কা কম প্রয়োজনীয় গাড়িতে পেট্রোল ও ডিজেল বিক্রি নিষিদ্ধ করে। সংকটময় পরিস্থিতিতে দেশটি আমাদানি করা জ্বালানি, ওষুধ ও খাবারের মূল্য পরিশোধে সংগ্রাম করছে।

জ্বালানিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, দেশে ১২ হাজার ৭৭৪ টন ডিজেল এবং চার হাজার ৬১ টন পেট্রোল মজুদ রয়েছে। পেট্রোলের পরবর্তী চালান পাওয়া যাবে হয়তো ২২ থেকে ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে।

ডিজেলের একটি চালান চলতি সপ্তাহে আসার কথা রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। তবে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, পরিকল্পিত জ্বালানি ও অপরিশোধিত তেল আমদানির মূল্য পরিশোধের মতো অর্থ আমাদের হাতে নেই।

তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংক জ্বালানি ক্রয়ের জন্য শুধু ১২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিতে পারবে। নির্ধারিত চালানের জন্য পরিশোধ করতে হবে ৫৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সে তুলনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সামর্থ্য অনেক কম।

দেশটি এই বছরের শুরুতে জ্বালানি কেনার জন্য সাতটি সরবরাহকারীর কাছে ৮০০ মিলিয়ন ডলার পাওনা রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শ্রীলঙ্কা ১৯৭০ এর দশকের তেল সংকটের পর প্রথম দেশ যারা সাধারণ নাগরিকদের কাছে পেট্রোল বিক্রি বন্ধের কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। তেল সংকটের সময় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে জ্বালানি রেশন হিসেবে দেওয়া হয়েছিল।

২২ মিলিয়ন জনসংখ্যার এই দ্বীপরাষ্ট্রটি ১৯৪৮ সালে যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভের পর ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট পার করছে।

থেকে তার আরও খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে কারণ এটি প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির জন্য পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার অভাব রয়েছে। জরুরি আমদানি পণ্যের মূল্য পরিশোধ করার মতো অর্থ দেশটির হাতে নেই। জ্বালানি, খাবার ও ওষুধের তীব্র সংকটের কারণে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে বহুগুণ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর