যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক মেরিন সদস্য ডেভিড লং ক্যালিফোর্নিয়ার বারে মর্মান্তিক এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছেন প্রদেশটির পুলিশ কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ক্যালিফোর্নিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা থাউজেন্ড ওকসে এই হত্যাকাণ্ড চালায় অজ্ঞাত হামলাকারী। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডে ১৩ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হলেও হামলাকারী সম্পর্কে কোনো তাৎক্ষণিক ধারণা দিতে পারেনি প্রদেশটির পুলিশ।
তবে এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে চলমান তদন্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি পোষ্টের দিকে সন্দেহের আঙ্গুল তুলছে দেশটির প্রশাসন। বারে হামলার সময়ে ডেভিড লং তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্টটি করেন। যেখানে নিজেকে উন্মাদ বলে উল্লেখ করেন ক্যালিফোর্নিয়ার এই বারে নিয়মিয়তই আসা যাওয়া করা ২৮ বছর বয়সী সাবেক এ মেরিন সদস্য।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লং জানায়, ‘মানুষ আমাকে উন্মাদ বলে বিদ্রুপ করে (হাসির চিহ্ন)। এটা এ বিদ্রুপের কড়া জবাব নয় কি? হ্যাঁ আমি উন্মাদ। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের পর তোমরা আমাকে সব সময় মনে রাখবে। এমনকি তোমরা আশ্চর্য হবে কেন এ ঘটনা ঘটল?’
এ বছরের এপ্রিলে ক্যালিফোর্নিয়ার এক সরকারি কর্মকর্তা লংকে মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত বলে আখ্যায়িত করেন। মার্কিন গণমাধ্যমগুলো জানায়, সাবেক এ মেরিন সদস্য আফগানিস্তানে দায়িত্বে পালনের সময়ও সব সময় রাগান্বিত ও অযৌক্তিক কথাবার্তা বলত।
এমনকি দেশটির এক মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ জানায়, ‘লংয়ের সাথে আমার আগেও দেখা হয়েছে। সে আঘাত পরবর্তী সমস্যায় ভুগছে। কিন্তু তার সাথে দেখা হওয়ার পর সে চিকিৎসা নিতে অসম্মতি জানায়।’
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ লংসহ ১৩ জনের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় ৪৫ ক্যালিবারের একটি বন্দুক উদ্ধার করে। এটা লং বৈধভাবে ক্রয় করলেও ক্যালিফোর্নিয়াতে এ বন্দুক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই বন্দুকে ১১টি বুলেট ব্যবহার করা গেলেও বেশ কয়েকবার বুলেট ‘রিলোড’ করেছে বলেও জানায় পুলিশ।