ইন্ডাস্ট্রি ও ব্যক্তিজীবন নিয়ে নাসিরুদ্দিন শাহ্’র প্রথাবিরোধী যত ভাবনা

, ফিচার

যাকওয়ান সাঈদ, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট | 2023-08-31 12:57:55

নাসিরুদ্দিন শাহ্ একজন বলিউড অভিনেতা। নানাসময়ে তিনি নানামুখী সাহসী বক্তব্যের মধ্যদিয়ে একটি বিতর্কিত অবস্থায় নিজেকে উপস্থাপন করে থাকেন। ফলে তার ব্যাপারে উপমহাদেশের মানুষদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখতে পাওয়া যায়। অনেকের মনে তার জন্য রয়েছে অসামান্য ভালোবাসা, আবার অনেকের কাছেই তিনি ঘৃণার পাত্র।

তরুণ বয়সে নাসিরুদ্দিন শাহ্ ◢

 

কিছুদিন আগেও এই অভিনেতা ভারতের লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিস্তর আলাপ-আলোচনার পাত্র হয়ে উঠেছিলেন। সেই সময়কালে ভারতের একটি নামকরা দৈনিক পত্রিকার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “মানুষ স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহার করে কেন বলতে পারেন? মূলত সে স্ক্রিনে তার নিজের নামটা একটু দেখতে চায়। এটা তাদের কাছে একটা আকর্ষণীয় ব্যাপার। আমি নিজেও স্বপ্ন দেখতাম, অভিনেতা হয়ে নিজের নামটা পর্দায় দেখতে পাব। আসলে যেইসব লোকেদের কাজবাজ নাই, তারাই মূলত স্যোশাল মিডিয়া থেকে এই সুযোগটা নিয়ে থাকে। অন্য লোকদের ব্যাপারে তারাই বিরূপতা তৈরি করতে চায়, ঘৃণা অথবা অশ্লীলতা ছড়ায়, এগুলোই তাদের কাজ।

নাসিরুদ্দিন শাহ্ সর্বদাই চলমান বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অর্থহীন সিনেমাসমূহকে প্রশ্নের মুখোমুখি রাখতে চেষ্টা করেছেন। মূলত তাকে, এবং ওম পুরি নামক আরেকজন অভিনেতাকে বলিউডের সবচেয়ে শক্তিশালী নন-কমার্শিয়াল অভিনেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

কমার্শিয়াল সিনেমার ব্যাপার তিনি মন্তব্য করেছিলেন, “কমার্শিয়াল সিনেমাগুলো একটা বৃহৎ সংখ্যক সনাতনী ধ্যানধারণাকে সমাজে চালু রাখতে সাহায্য করে, যেগুলো আসলে পরিবর্তন হওয়া উচিত। দুঃখজনকভাবে এখানকার টেলিভিশন সিরিজগুলোও এই ধরনের চিরক্ষতিকর বিষয়গুলোর সঙ্গেই জড়িয়ে আছে। এগুলো সেই পুরান আমলের নারীবিদ্বেষী প্রেক্ষাপটগুলোকেই প্রচার করছে। যেমন একজন মহিলা সর্বদাই তার স্বামীর পেছনে পেছনে চলছে, অথবা স্বামীর পায়ের ওপরে শুয়ে আছে, অথবা ‘মেরে তুলসি তেরে আগান কি’ জাতীয় কথা বলে বলে তার স্বামীর অপেক্ষা করছে। এই জাতীয় রাবিশ আর পশ্চাদমুখী পরিবার প্রথাগুলো কোনোভাবেই এই বর্তমান দুনিয়ার সঙ্গে মানানসই না।

কমার্শিয়াল সিনেমার প্রতি এধরনের মনোভাব পোষণ করা ছাড়াও নাসিরুদ্দিন নতুন সিনেমা, অর্থাৎ চিন্তাশীল নতুন চলচ্চিত্রকারদেরকে গুরুত্ব দিতে ভীষণভাবে তৎপর থাকেন। এবং তিনি নিজে ‘ইউটিউব জেনারেশন’-এর চলচ্চিত্রকারদের দ্বারা অভিভূত হতে চান, এমনটাই ব্যক্ত করেন।
এই প্রসঙ্গে তার বক্তব্যটি এমন, “আমি এইসব চলচ্চিত্রকারদের মধ্যে আশা খুঁজে পাই। কেননা তারা চলচ্চিত্র নির্মাণ করছে কোনো প্রকার প্রডিউসারের সঙ্গে বসাবসি ব্যতিরেকে। তারা বাজেট অথবা হলগুলো থেকে কী পরিমাণ টাকা রিটার্ন আসলো, এসব চিন্তা থেকে মুক্ত।

বলিউডের বিরাট বাজেটের সিনেমাগুলোর ব্যাপারে তিনি একপ্রকার হাস্যরসই করে থাকেন। সম্প্রতি কোলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “লক্ষ করবেন, হয় বলিউডে বিরাট বিরাট বাজেটের ছবিগুলো হচ্ছে, আর নয়তো হচ্ছে স্বল্প বাজেটের ইন্ডিপেন্ডেট ছবি। মাঝামাঝি কিছু নেই। আর বড় ছবিগুলো একের পর এক শুধু ব্যর্থ হচ্ছে। কিন্তু তাতে কি বলিউডের শিক্ষা হচ্ছে? এক ডজন অভিনেতাকে নিয়ে আরো বড় বড় ছবি বানিয়ে যাবে তারা, এন্ড হোপফুলি দে উইল কিপ লুজিং মানি।

নাসিরুদ্দিন শাহ্ পারিবারিক জীবনকেও সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। এবং বর্তমান ভারতের সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতিতে তিনি নিজের পরিবারকে নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেন। তিনি মুসলিম পরিবার থেকে আসলেও তার স্ত্রী একজন হিন্দু পরিবার থেকে আসা মানুষ, কাজেই তার সন্তানদের পক্ষে একটি নির্দিষ্ট ধর্মের পরিচয়ে নিজেদেরকে উপস্থাপন করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
এপ্রসঙ্গে নাসিরুদ্দিন বলেন, “আমি আমার বাচ্চাদেরকে নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকি। কেননা, এই ইতর জনগণ আগামীকালকে যদি তাদেরকে ঘিরে ধরে জিজ্ঞাসা করে, তোমরা হিন্দু নাকি মুসলিম, সেক্ষেত্রে তাদের কোনো উত্তর দেওয়ার থাকবে না।” নাসিরুদ্দিনের ভিভান শাহ এবং ইমাদ শাহ নামে দুইজন পুত্র সন্তান আর হীবা শাহ নামে একজন কন্যা সন্তান রয়েছে।

পরিবারের সদস্যদের সাথে নাসিরুদ্দিন শাহ্ ◢

 

স্ত্রী রত্না পাঠক সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমাদের সম্পর্কটা এক ধরনের কেমিস্ট্র, যা মূলত দুইজন অভিনয়শিল্পীর মধ্যে সুন্দর বিবেচনাবোধ হিসেবে বিরাজ করে, এবং যখন সম্ভব হয় একে অন্যকে সাহায্য করে।

নাসিরুদ্দিন শাহ্ রত্না পাঠকের ব্যাপারে অনেক বেশি কৃতজ্ঞ, তার কিছু কথায় এধরনের অভিব্যক্তি প্রকাশ পায়। যেমন তিনি বলেন, “সে আমাকে চমৎকারভাবে সাহায্য করে, ঠিক ততটা সাহায্য আমিও তাকে করতে পারি না। প্রায় প্রত্যেকটা বিষয়ে আমি তার মতামতের ওপর ভরসা করে চলি, এমনকি আমার সিনেমার কাজগুলোর ক্ষেত্রেও। তার মতামত আমার জন্য বিরাট সুফল বয়ে আনে।

নাসিরুদ্দিন শাহ্ এবং ওম পুরি ◢

 

আজ ২০ জুলাই, এই বরেণ্য অভিনয় শিল্পীর জন্মদিন। নিচে তার বিখ্যাত কয়েকটি উক্তি বা কোটেশন উল্লেখ করা যাক। এর আগে, তার ব্যাপারে আমাদের কিছু বিষয় জেনে নিলে ভালো। ফুটনোট আকার ওই বিষয়গুলো প্রথমে উল্লেখ করা যাচ্ছে—

• সিনেমায় আসার আগে নাসিরুদ্দিন শাহ্ একজন শক্তিশালী থিয়েটার অভিনেতা ছিলেন। ১৯৭৭ সালে এই মর্মে তিনি ‘মটলি প্রডাকশন’ নামে একটি নাট্যদল গড়ে তুলেছিলেন। সেখানে তার সহযোগী ছিলেন অভিনেতা বেঞ্জামিন গিলানি এবং মার্কিন বংশোদ্ভুত অভিনেতা টম অল্টার।

• তার সিনেমা-জীবনের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ১৯৭৫ সালে। সিনেমার পর্দায় প্রথম কাজ হিসেবে ‘নিশান্ত’ নামের একটি ছবিতে তিনি খুব ছোট একটি রোল করেছিলেন।

• জীবনের ২০ বছর বয়সেই তিনি প্রথম বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু এই বিয়ে টিকেছিল মাত্র এক বছর। তার প্রথম স্ত্রীর নাম মানারা সিক্রি।

• নাসিরুদ্দিন শাহ্ কখনোই অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে এক পর্দায় অভিনয় করেননি।

• তিনি দিল্লির ‘ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা’ থেকে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন।

• এই পর্যন্ত তিনি একশোটিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

• ১৯৫০ সালের ২০ জুলাই তিনি ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের বরাবাঁকি নামক একটি স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আলে মোহাম্মদ শাহ, আর মাতার নাম ফাররুখ সুলতান।

• তিনি ১৯৭১ সালে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলা বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

• ভারতীয় চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য তিনি ভারত সরকার কর্তৃক দেশটির চতুর্থ সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ লাভ করেছেন, এর সময়কাল ছিল ১৯৮৭। আর ২০০৩ সালে তিনি ‘পদ্মভূষণ’ সম্মাননাও অর্জন করেন, এটি ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা।

নাসিরুদ্দিন শাহ্’র বিখ্যাত ২৭টি উক্তি

১. আপনি হাসতে পারা আর কাঁদতে পারার পারদর্শিতার ওপরেই শুধু ভরসা রাখতে পারেন না, আর ভাবতে পারেন না যে এটাই অভিনয়ের একমাত্র নিহিত অর্থ। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমাদের দেশে কান্নাকেই সর্বদা ভালো অভিনয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

২. ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এখনো মনে করে, আপনি একজন অভিনেতা নিয়ে আসবেন আর তাতেই একটা ফিল্ম তৈরি হয়ে যাবে। একথাও অনেকাংশে সঠিক বটে, কিন্তু এমন কিছুকে আমি কখনোই সম্মতি দেব না।

৩. আমি পরবর্তীকালে ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছিলাম যে, একজন প্রথাবিরুদ্ধ অভিনেতা তাদের তৃতীয় বা চতুর্থ চয়েজ হিসেবে থাকে। এবং একমাত্র তখনই তাকে কাস্ট করা হয়, যখন তারকা অভিনেতারা সেই পার্টে অভিনয় করতে অনীহা প্রকাশ করে।

৪. মাসালা সিনেমাতে অভিনয় করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে একটা দেখতে-শুনতে ভালো শরীর। আর জানতে হবে কিভাবে পোশাক পরতে হয়, কিভাবে নাচতে হয়, কিভাবে মারামারি করতে হয়, বা কিভাবে হাসি-কান্নার অভিনয় করতে হয়। কিন্তু একজন মানুষ হয়ে ওঠার পক্ষে দরকারি জীবনদর্শন এবং চিন্তাচেতনার সঙ্গে আপনার কোনো বোঝাপড়া করতে হবে না। কেননা মাসালা সিনেমাগুলো এগুলোর কোনোটাই ধারণ করে না।

৫. বলিউডে কিছুই পরিবর্তন হয়নি। সবকিছু এখানে তেমনই আছে, পঞ্চাশ বছর আগেও যেমনটা ছিল। হয়তো ফটোগ্রাফি আর এডিটিংটা ভালো হয়েছে, কিন্তু বিষয় বা সারাংশ সেই সত্তরের দশকে যেমন ছিল, আজও তেমনই ছেলেমানুষি রয়ে গেছে।

৬. এখানে প্রতিভা কিংবা সহজাত ক্ষমতা বলতে কিছু নেই। এখানে যা আছে তা প্রতিভার ঘাটতি বা অভাব। প্রতিভার অভাব পরিলক্ষিত হয় তখন, যখন কেউ তার নির্দিষ্ট স্থানে থাকে না।

৭. আমি কখনোই আমার চুল রঙ করার সিদ্ধান্ত নিইনি। কেননা এতে করে, একজন পুরুষকে মোটেও কমবয়স্ক লাগে না। বরং, আমার মনে হয়, পুরুষের মুখের বয়সচিহ্ণগুলো আরো স্পষ্ট হয়, যখন আপনি চুল রঙ করেন।

৮. সামহাউ, হলিউড ফিল্মগুলো আমার মধ্যে যেভাবে কাজ করে, হিন্দি সিনেমাগুলো মোটেও তেমনটা করে না। সেই পাঁচ বা ছয় বছর বয়সে আমি দেখতে পেয়েছিলাম, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ধরনেই এই দুই ঘরানার সিনেমার মধ্যে তফাৎ রয়েছে।

৯. স্বতন্ত্র সত্তা তার নিজস্ব পথকেই শুধু গ্রহণ করে। আমার বাবা তার চিন্তানুযায়ী সবচেয়ে উৎকৃষ্ঠ পন্থায় আমাকে গাইড করতে চেয়েছিলেন, এবং এটা কাজ করেনি। আমি আমার চাওয়া পথেই গিয়েছি।

১০. বোম্বের মাটিতে আমার পদার্পণটি খুব ভাগ্যমণ্ডিত ছিল। বোম্বেতে তখনই সবেমাত্র সিরিয়াস সিনেমার গোড়াপত্তন ঘটতে চলেছিল।

১১. মানুষ ভাবে আমি মজা করছি, যখন আমি বলি আমার ফেভারিট অভিনেতারা হলেন শাম্মি কাপুর আর দারা সিং।

১২. ফাইনালি আমি অনুধাবন করেছি যে, দেখতে ভালো হওয়াও গুরুত্বপূর্ণ।

১৩. আমি প্রত্যেকটা প্রজেক্টে যাই সমান উৎসাহ আর সমান আশাবাদ নিয়ে। কিন্তু সেসবের কোনো কোনোটা ফলে, আর কোনো কোনোটা বিফলে।

১৪. আমি মনে করি না, কারো জীবনকে পাল্টে দেওয়ার শক্তি সিনেমার আছে।

১৫. পড়াশোনাকে বাদ দেওয়ার জন্যে অভিনয়কে পেশা হিসেবে বেছে নেবেন না।

১৬. আমি স্কুলে শেক্সপিয়ার পড়াতে চাই। কিন্তু, সমস্যা হলো, যদি আমি আমার পদ্ধতি প্রয়োগ করি তাহলে তারা আমার উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহপ্রবণ হয়ে পড়বে।

১৭. থিয়েটার আপনাকে এমন একটা পৃথিবীর দিকে নিয়ে যাবে যেখানে আপনার কল্পনাশক্তি আরো শাণিত হবে, আপনার অভিমতগুলো আরো শক্তিশালী হবে, আর এভাবে অভিনয়কে উপভোগ করা আপনার পক্ষে আরো সহজ হবে।

১৮. থিয়েটারের সবচেয়ে সুন্দর সংজ্ঞাটা আমি ফেলে এসেছি, সেটা হলো, ‘একজন অভিনেতা, একজন দর্শক।’

১৯, রাজনৈতিকভাবে ত্রুটিপূর্ণ লোকদেরকে আমি পছন্দ করি। এবং পছন্দ করি, যারা খুব যাচ্ছেতাই।

২০. আমি এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কোনো কিছুর কাছেই ঋণী না। আমি তাদেরকে নিয়ে আমার ক্যারিয়ার শুরু করিনি। তারা আমার কাছে আসে, যখন তাদের একজন অভিনেতা প্রয়োজন হয়, যে ভালো ভালো বিষয় ডেলিভারি দিতে পারে।

২১. সবাই সন্তুষ্টি বিষয়টা নিয়ে অনেক কথা বলে। এখানে মূলত এমন একটা কিছু আছে, যেটাকে অর্থনৈতিক সন্তুষ্টি বলা যায়।

২২. আমি আমার বাচ্চাদেরকে গাইড করতে গিয়ে এই ভুল করিনি যে, তাদেরকে আমার পছন্দসই পথে চলতে হবে। আমি তাদেরকে তাদের নিজস্ব পথ খুঁজে নেবার স্বাধীনতা দিয়েছিলাম। আমার তাদের প্রতি বিশ্বাস আছে, এবং তারা এটার মূল্য রাখবে।

২৩. আমি সমালোচনাকে সমাদর করি। আমি তাদেরকে পছন্দ করি যারা আমাকে বলে, আমার কাজ তাদের পছন্দ হয়নি এবং কেন পছন্দ হয়নি। কাউকে প্রশংসা করার চাইতে সমালোচনা করাটা অধিক খাটুনির ব্যাপার।

২৪. ব্যর্থতা মানে হলো একজন মানুষ তার কাজ খুঁজে পায়নি। কারণ সে জানে না, তার কী কাজ। বেশিরভাগ অভিনেতার ব্যর্থ হবার পেছনে এটাই কারণ যে, তারা জানে না তাদের কী কাজ।

২৫. এরকম বিশ্বাস করা নিতান্ত বোকামি যে, থিয়েটারে আপনার পারফর্ম করা মানে সেটা একটা বিশেষ ব্যাপ্ত ঘটনা। ভালো অভিনয় মানে ভালো অভিনয়, সেটা মঞ্চে হোক আর সিনেমায় হোক।

২৭. একজন অভিনেতার মধ্যে থাকা নানামুখী আবেগ-অনুভূতির বৈচিত্রকে খুঁজে নিতে পারাই তার কাজ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর