মে মাসেই মে ফ্লাওয়ার

, ফিচার

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর | 2023-08-30 23:55:21

মে মাসে বহু ফুল ফোটে। কিন্তু মে মাসের মূল আকর্ষণ ‘মে ফ্লাওয়ার’। মে মাস শুরুর সঙ্গে সঙ্গে মাথা তুলে দাঁড়াতে থাকে মে ফ্লাওয়ার। মাসের একেবারে প্রথম দিক থেকেই মে ফ্লাওয়ার প্রকৃতিকে তার অস্তিত্ব ও সৌন্দর্য জানান দেয়। মে ফ্লাওয়ারের আরও কিছু পরিচিত নাম আছে। যেমন -ফায়ার বল, বল লিলি, গ্লোব লিলি, আফ্রিকান ব্লাড লিলি ইত্যাদি।

মে ফ্লাওয়ার কন্দজাতীয় ফুল গাছ। গ্রীষ্মের আগমনে মাটি ভেদ করে ফুলের ডাঁটা বের হয়, ফুলের কলি জন্মে আর মে মাসের শুরু থেকেই উজ্জ্বল লাল রঙের মাঝে হলুদ-সাদা আভার মিশ্রণে গোলাকার বল আকৃতির ফুল ফোটে। গড়নের দিক থেকে কদম ফুলের মতো। তবে আকারে আরও বড়। ফুল গন্ধহীন। ফুটন্ত ফুল দেখতে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। পাপড়ি ও পুংকেশর অসমান। ফুল শেষে গাছে ফল ধরে। ফুলের ডাঁটা ও গাছের গড় উচ্চতা প্রায় ১০ থেকে ১২ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে। ছোট গাছ দেখতে অনেকটা ছাতার মতো।

শুক্রবার (১০ মে) সকালে ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর শহরের বৃক্ষ প্রেমী মোতালিব বিন আয়েতের ফুলবাগানে মে ফ্লাওয়ারের এ ফুলের দেখা মেলে। বাগানের একটি টবে ফুটে আছে দৃষ্টিনন্দন মে ফ্লাওয়ার। প্রথম দেখায় মনে যে কারোই মনে হবে পুরোটা ফুল কাটায় ঘেরা। আদতে তা নয়। ফুলের পাগড়িতে ছুঁয়ে দিলে নরম কোমল অনুভূতি হয়। আঙুলের ডগায় উঠে আসে ছিটে ফোটা হলুদ রং। যেন ভালোবাসার চিহ্ন।

এদিকে মে ফ্লাওয়ার ফোটার খবর পেয়ে মোতালিব বিন আয়েতের বাড়িতে ছুটে আসছে দর্শনার্থীদের। পছন্দের ফুলটিতে একনজর দেখতে উৎসুক দর্শনার্থীরা সকাল থেকেই ভিড় জমিয়েছেন। কেউ কেউ আবার ব্যস্ত হয়ে পড়েছে মুঠোফোনে সেলফি তুলতে।

মোতালিব বিন আয়েত বলেন, 'এক বছর আগে আমি এই মে ফ্লাওয়ার গাছের মূল সংগ্রহ করে টবে রোপণ করি। এরপর নিয়মিত পরিচর্যা করি। চলতি বছরের মে শুরুর দিকে মে ফ্লাওয়ার ফোটে বড় হতে থাকে। মে ফ্লাওয়ার একমাস স্থায়ী হয়। ফুল ঝরে পড়ার পর পাতার সৌন্দর্য আরও কিছুদিন উপভোগ করা যায়। এটি একটি দুর্লভ ফুল। কন্দ ও বীজের মাধ্যমে এই ফুলের বংশবিস্তার ঘটে। মূলত সৌখিন ফুল প্রেমীরা মে ফ্লাওয়ারকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।'

মে ফ্লাওয়ারের আদি নিবাস আফ্রিকা। পরিবার-আমারিলিডাচি উদ্ভিদ, তাত্ত্বিক নাম- হাইমান্থাস বিস্তৃতি পূর্ব ভারত থেকে মিয়ানমার ও ইন্দোনেশিয়া। তবে আমাদের প্রকৃতি ও পরিবেশে এ ফুল বেশ মানিয়ে নিয়েছে। তাই পুষ্প প্রেমীরা বাগানে, বারান্দার টবে, ছাদ বাগানে স্থান দিয়ে এদের সৌন্দর্য উপভোগ করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর