নাম ভূমিকায় মাহিয়া মাহি, সঙ্গে সায়মন সাদিক।
মুক্তি পেয়েছে ঈদুল আযহায়।
তবে প্রথম সপ্তাহে হল পায়নি খুব বেশি।
কেবল মালিবাগের পদ্মা সিনেমা হল।
ঢাকার বাইরেও বিশের একটু অধিক হলে দেখতে পেরেছে দর্শক।
তা নিয়ে অবশ্য মন খারাপ ছিলো ‘জান্নাত’ সংশ্লিষ্ট সবারই।
অভিনেতা সায়মন বলছিলেন-
‘জান্নাত’ ছবিটি আমার ভালো কাজগুলোর একটি। ছবিটি এতো কম হল পাওয়ায় মন খারাপ হয়েছে। কারণ এটি এতো কম হলে মুক্তি পাওয়ার ছবি নয়। তবে আমি আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষায় আছি। যেহেতু ভালো ছবি; তাই আগামী সপ্তাহে হল সংখ্যা বাড়বে বলে আমার বিশ্বাস।
মাহি বলছিলেন-
‘জান্নাত’ ঈদের ছবি নয়। ঈদে মুক্তি দেওয়াটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিলো।
কিন্তু এবার আর মন খারাপ থাকছে না কারোরই।
পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ভাষ্য-
ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর কিছুটা মন খারাপ ছিলো। কিন্তু দর্শকরা ছবিটি দেখে মন ভালো করে দিয়েছেন। দর্শকের আগ্রহ দেখে মন ভালো হয়ে গেছে। তাদের ভালোবাসা পেয়ে দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশের বড় বড় হলগুলোতেও আসছে ছবিটি। সামনে সপ্তাহে আরও হল বাড়বে। আমার বিশ্বাস যারা ছবিটি দেখবেন, তারাই অন্যকে দেখতে উৎসাহিত করবেন।
ছবিটি এরইমধ্যে প্রশংসায় ভাসছে। গল্প যুৎসই। সায়মন-মাহির রসায়নও বেশ জমেছে।
পরিচালক বলছেন-
ছবিটি নিয়ে আমরা সবাই আশাবাদী ছিলাম। ছবিটি দর্শকের চাহিদা পূরণ করবে বলে আমাদের ধারণা ছিলো। তবে ছবিটি দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে আরও সফলতার মুখ দেখতে পাবে মনে হচ্ছে।
মানিক জানাচ্ছেন-
ঢাকার মধুমিতা, পুরবী, সনি, সৈনিক সিনেমা হলসহ দেশব্যাপী আরও ২৫-এর অধিক হলে মুক্তি পাবে ‘জান্নাত’। পাশাপাশি চলবে সিনেপ্লেক্স ও শ্যামলী সিনেমা হলেও। সব মিলিয়ে দ্বিতীয় সপ্তাহে ৪০ এবং তৃতীয় সাপ্তাহে ৫০ এর অধিক হলে মুক্তি পাবে ছবিটি।
সুদীপ্ত সাঈদের গল্পে ‘জান্নাত’ ছবিটির চিত্রনাট্য ও সংলাপ করেছেন আসাদ জামান।
ছবিটিতে আরও অভিনয় করেছেন আলীরাজ, মিশা সওদাগর, মারুফ, শিমুল খান প্রমুখ।
হলের সংখ্যা বেড়ে গিয়ে ‘জান্নাত’ দেখতে চাওয়া দর্শকের যেমন প্রত্যাশা পুরণের সুযোগ এসেছে, তেমনই সুযোগ এসেছে এই ছবি সংশ্লিষ্টদেরও।
তাদেরও প্রত্যাশা, সবচেয়ে বেশি সংখ্যক দর্শক ‘জান্নাত’ দেখুক, ভালোবাসা জানাক।
আগামী সপ্তাহ, অর্থাৎ শুক্রবার (৩১ আগস্ট) থেকে প্রথমবারের মতো আরও যে কয়টি হলে চলবে ‘জান্নাত’, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-