জিয়ায়ুল রোশান, তরুণ অভিনেতা।
কিন্তু মুক্তি পায়নি।
এই বিষয়টি বিস্তারিত জানিয়েছেন রোশান।
বলছেন-
প্রথমেই আন্তরিকভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি সবার কাছে, ছবিটি ঈদে আপনাদের পাশের পেক্ষাগৃহে মুক্তি দিতে না পারায়।
কিন্তু কেন!
রোশান জানাচ্ছেন-
গত ১৯ তারিখ সেন্সর পাওয়ার কথা ছিলো বেপরোয়া সিনেমার। কিন্তু সেইদিন শাকিব ভাইয়ের ‘ক্যাপ্টেন খান’ সহ আরো একটি ছবির প্রদর্শনী শেষ করে সেন্সর প্রদান করা হয়। এবং সেইদিন সেন্সর বোর্ড আর ছবি না দেখার সিদ্ধান্ত নেন। গত ২০ তারিখ সেন্সর বোর্ডের সম্মানিত সদস্যরা কোন ছবি দেখবেন না, এটাই কনফার্ম ছিলো। যার কারণে আমরা সেন্সর নিয়ে সম্পুর্ণ অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলাম এবং ‘বেপরোয়া’ ছবিটা নেয়ার জন্য অপেক্ষমান সম্মানিত হল মালিকরা যখন ১৯ তারিখ রাতে আমাদের কাছে লাস্ট আপডেট জানতে চান এবং ‘বেপরোয়া’ ছবিটার বুকিং নিতে চান তখন জাজ মাল্টিমিডিয়ার চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ ভাই তাদেরকে জোর দিয়ে পজিটিভ কিছু শুনাতে পারেননি এবং ছবিটাও দিতে পারেননি। যার ফলে আশাহত সম্মানিত হল মালিকরা মোটামুটি নিশ্চিত ছিলেন যে ‘বেপরোয়া’ সেন্সর পাবেনা।
জিয়ায়ুল রোশান আরও বলছেন-
আব্দুল আজিজ ভাই চাননি কেউ ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হোক। তাই কাউকে অনিশ্চয়তার মধ্যে না রেখে হল মালিকদের মুক্ত করে দেন, কারণ যদি আমরা সেন্সর না পেতাম তারা ক্ষতিগ্রস্ত হতেন। একজন ব্যবসায়ী হয়ে তিনি কাউকে অনিশ্চয়তার মধ্যে রাখতে চাননি। যার দরুণ আমরা গত ২০তারিখ রাতে সেন্সর পাওয়ার আগেই তারা যার যার মতো করে অন্য ছবির বুকিং নিয়ে নেন। তাই আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করি। তবে ১টি হলে নাম মাত্র মুক্তি দেয়া হয়েছে শুধুমাত্র কমিটমেন্ট রক্ষার জন্য। কারণ আমরা মুক্তি দিবো বলে কথা দিয়েছিলাম।
অথচ আরও বেশকিছু হলে ‘বেপরোয়া’ মুক্তি দিতে পারতো জাজ, যদি ইচ্ছে করতো। তবুও দেয়নি।
রোশান বলছেন-
‘বেপরোয়া’ দেশীয় ছবি হিসেবে অনেক বড় বাজেটের (৪কোটি প্লাস) ছবি। ব্যক্তিগতভাবে যদি বলি, অনেক প্রত্যাশা আমার এই ছবিটিকে ঘিরে। কারণ এর আগে আমি কোনো ছবিতে আমার মতো করে আপনাদের সামনে নিজেকে তুলে ধরতে পারিনি। আমি এবং আমরা চাই ছবিটি অনেকগুলো হলে মুক্তি দিতে। ১৯ তারিখ সেন্সর পেলে হয়তো ৭০-৮০ টি হলে আমরা মুক্তি দিয়ে দিতে পারতাম। কিন্তু তা না হবার কারণে আমরা ছবি রিলিজের তারিখ পিছিয়েছি।
তাহলে কবে মুক্তি পাচ্ছে ‘বেপরোয়া’?
ছবিটির নায়ক জানাচ্ছেন-
আরো প্রচারণা এবং প্রস্তুতি নিয়ে আমরা অল্প কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ছবিটা রিলিজ দিচ্ছি। আশা করবো আপনাদের সাপোর্ট আমার জন্য সব সময় থাকবে। ইনশাআল্লাহ ‘বেপরোয়া’ বিন্দুমাত্র হতাশ আপনাদের করবেনা।
সবশেষে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জিয়ায়ুল রোশান এবং কামনা করেছেন সুস্থতার।
সেইসঙ্গে শুভকামনা জানিয়েছেন মুক্তি পাওয়া ‘ক্যাপ্টেন খান’ সহ সকল ছবির জন্য।
[সব ছবি ফেসবুক থেকে সংগৃহীত]