এরইমধ্যে পৌঁছে গেছেন লাখো দর্শকের হৃদয়ে।
তার কাজ তাকে পাইয়ে দিয়েছে অজস্র ভালোবাসা।
ঊর্মিলার মা তৃপ্তি কর, স্পেশাল গ্রেড শিল্পী, বাংলাদেশ বেতার এবং টেলিভিশন।
আজ তার জন্মদিন।
‘আমার মা তৃপ্তি কর। জন্মগ্রহন করেছেন খুবই সংস্কৃতিমনা একটি পরিবারে। আমার দাদু পেশায় ডাক্তার ছিলেন, কিন্তু আমার মা’দের ছয়বোনকেই ছোটবেলা থেকে নাচে-গানে পারদর্শী করে গড়ে তুলেছিলেন। নানাবাড়িতে এমন চমৎকার সাংস্কৃতিক আবহ ছিলো যে, ঢাকা থেকে যেসব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি শেরপুরে যেতেন, তারা আমার নানা বাড়িতেই উঠতেন, থাকতেন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করতেন।
আমার মা সঙ্গীত আর নৃত্যের তালিম নিয়েছেন বিশিষ্ট ওস্তাদ মিঠুন দে আর যোগেশ দাসের কাছ থেকে। মিতালি মুখার্জী সিনিয়র পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতেন আর আমার মা জুনিয়র পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতেন। ছোটবেলায় মায়ের ডায়রীতে মিতালী মুখার্জীর হাতে লেখা অনেক গান দেখেছি। ১৯৭৯ সালে সারা বাংলাদেশে আধুনিক গানে গোল্ড মেডেল পেলেন মা আর ক্ল্যাসিকাল-এ গোল্ড মেডেল পেলেন মায়ের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী শাকিলা জাফর।
আশির দশকের শুরুতে মায়ের বিয়ে হলো। আমার বাবা ছিলেন সামরিক কর্মকর্তা। আমাদের তিন ভাই-বোনের জন্য, সংসারের জন্য মা তার গানের ক্যারিয়ারটা বিসর্জন দিলেন। মাঝে মাঝে বিটিভিতে অনুষ্ঠান করতেন। কিন্তু সংসারই হয়ে গেলো মায়ের ধ্যান-জ্ঞান-স্বপ্ন। নিজের ক্যারিয়ার না গড়ে তিনি আমাদের তিন ভাই-বোনকে গান শিখিয়েছেন। দুই বোনকে নাচ শিখিয়েছেন। আমাদের ক্যারিয়ারের জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ স্বীকার করেছেন।
আজ বাবা নেই। কিন্তু বাবার অনুপস্থিতি আমাদের বুঝতে দেননি মা। সংসারের প্রধান মানুষটি চলে গেলে যেসব ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়, সেসব ঝামেলা একাই সামলেছেন আমার মা। আমাদের বুঝতেই দেননি যে, কোনো সমস্যা আছে। বাড়ি-ঘরের দেখাশোনা থেকে শুরু করে আমাদের তিন ভাই-বোনের সব চাহিদা মেটান মা। আমাদের সব গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের দায়িত্ব একহাতে সামলান মা।
আজ মায়ের জন্মদিন। আপনারা সবাই আশীর্বাদ করবেন যেন মা সুস্থ থাকেন, ভাল থাকেন।’
আরও পড়ুনঃ