একজন অভিনেতার জন্য খ্যাতি জরুরি। তাদের কেউ ক্যারিয়ারের শুরুতে তা পেয়ে যান, কারও কারও স্পটলাইটে আসতে অনেক বছর লেগে যায়। চাঙ্কি পান্ডের বেলায় খ্যাতি বরাবরই ছিল অস্থির!
বলিউডের এই অভিনেতা তার তিন দশকের ক্যারিয়ারে পেয়েছেন দারুণ সফলতা। সেই সঙ্গে ছিলো ব্যর্থতাও।
এ প্রসঙ্গে চাঙ্কি পান্ডের ভাষ্য, ‘প্রথমে সফলতা তারপর ব্যর্থতা পরে আবার সফলতা এমনটাই হয়তো আমার ভাগ্যে লেখা ছিলো। আমার জীবনে যেমন সাফল্যের অভিজ্ঞতা রয়েছে তেমনি রয়েছে ব্যর্থতার গল্পও। সত্যি বলতে এটি নিয়ে কোন আফসোস নেই। কারণ একজন মানুষ চাইলেই সবসময় শীর্ষে থাকতে পারেন না।’
এরপর আশির দশকে চাঙ্কি পান্ডে ভক্তদের উপহার দিয়েছেন ‘তেজাব’, ‘খাতরো কে খিলাড়ি’, ‘পাপ কি দুনিয়া’, ‘গুনাহ কী ফয়সালা’র মতো ব্লকবাস্টার ছবি।
পরপর এতোগুলো হিট ছবি উপহার দেওয়ার পর নব্বই দশকে ফ্লপ হতে শুরু করেন চাঙ্কি পান্ডে। ১৯৯৩ সালে মুক্তি পায় ডেভিড ধাওয়ান পরিচালিত ‘আঁখে’। কিন্তু এতে অভিনয় করে দর্শকদের মন কাড়তে পারেননি তিনি। কেননা এই ছবিটিতে অভিনয়ের সুবাদে দর্শকের নজর কেড়ে নেন ছবির আরেক অভিনেতা গোবিন্দ।
এই ব্যর্থতার পর দারুণ সব চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন চাঙ্কি পান্ডে। কিন্তু সেসব ছেড়ে দিয়ে তিনি পাড়ি জমিয়েছিলেন বাংলাদেশে।
বাংলাদেশ থেকে ফিরে চাঙ্কি অভিনয় করেন ‘হাউসফুল’ সিরিজের ‘আখরি পাস্তা’ (২০১০) ছবিতে। যা নতুন প্রজন্মের দর্শকদের মন জয় করে নেয়।
এখনও কী তারকাখ্যাতি মিস করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে বলিউডের এই অভিনেতা বলেন- ‘একদম না। আমি সৌভাগ্যবান কারণ আমার এটি আছে। এমনও অনেক মানুষ আছেন যারা তারকাখ্যাতি অভিজ্ঞতারও সুযোগ পায় না। কিন্তু আমি এই সুযোগ পেয়েছি।’