চলচ্চিত্র জগতের পুরোধা ব্যক্তিত্ব মুহম্মদ খসরুকে সমাহিত করার আগে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তাঁর মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে রাখা হয়।
সরকারের পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্র আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব মুহম্মদ খসরু ছিলেন বহু গুণে গুণান্বিত। তিনি যে আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন, সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র বিকাশের স্বার্থে এবং আমাদের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার জন্য, সে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’
নাট্য ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ শ্রদ্ধা জানাতে এসে বলেন, তিনি এমন একটি লোক ছিলেন, যিনি যার মধ্যে ন্যূনতম কোনো যোগ্যতা দেখতেন তার পেছনেই ছুটতেন, তাকে ডাকতেন, তাকে উৎসাহিত করতেন। এ রকম লোক আজকের সমাজে খুবই বিরল। সেই বিরল লোকটিই আজকে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন।'
এছাড়া পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম, মফিদুল হক, চারুকলা অনুষদের ডিন নিচার হোসেন, শিশির ভট্টাচার্য এবং বাংলাদেশ ফিল্ম সোসাইটি, চলচ্চিত্র সংসদ, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে মুহম্মদ খসরুর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
বাদ জোহর ঢাবি কেন্দ্রীয় মসজিদে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। মুহম্মদ খসরুর বাড়ি কেরানীগঞ্জের রুহিতপুরের মোহনপুরে তাঁকে দাফন করার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর ইব্রাহিক কার্ডিয়াক হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুহম্মদ খসরু মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৭৩ বছর।