ছোট ও বড়পর্দার জনপ্রিয় নির্মাতা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। এবার ঈদুল ফিতরে যে অনেক সিনেমার ভীড়ে অন্যতম আকর্ষণ ‘ওমর’। ছবিটি পরিচালনা করেছেন রাজ। নিজের ছবি নিয়ে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসিদ রণ-
মাসিদ রণ : পরিচালককে গল্প তাড়া করে। সেই জায়গা থেকে ‘ওমর’-এর গল্প আপনার মনস্তাত্বিক জগতকে কিভাবে আলোড়িত করেছে?
মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ : ‘ওমর’-এর গল্প শুটিংয়ের আগে, পরে এমনকি এখনো সারাক্ষণই আমাকে আলোড়িত করছে। দর্শকদের ভালো লাগলে মনে করবো তাদের আবেগ ধরতে পেরেছি।
মাসিদ রণ : ‘ওমর’-এর ইউএসপি কী?
মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ : গল্প। ‘ওমর’-এর একঝলক ও ট্রেলার দেখে দর্শক যেমন গল্পের ধারণা করছেন, সিনেমাহলে গিয়ে আরেকটি গল্প পাবেন তারা! আমার বিশ্বাস, ছবিটা একবার দেখতে বসলে বেশিরভাগ দর্শকই শেষ না করে উঠতে পারবেন না। সবার প্রতি আহ্বান, প্রথম দৃশ্য থেকে ‘ওমর’ দেখবেন।
মাসিদ রণ : শুরু থেকেই কি ‘ওমর’ ঈদে মুক্তি দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন?
মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ : হ্যাঁ, শুরু থেকেই আমাদের পরিকল্পনা ছিল ঈদে আসার। সেভাবেই মহড়া থেকে শুরু করে শুটিং ও পোস্ট-প্রোডাকশনসহ সব ডিজাইন করে রেখেছিলাম। শেষ পর্যন্ত সবকিছু পরিকল্পনামাফিক করতে পারায় ভালো লাগছে।
মাসিদ রণ : এক ঈদে অনেক ছবি আসায় কোনো চাপ অনুভব করছেন কিনা?
মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ : একেবারেই না। কারণ একেকটি ছবি একেক রকম গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে। ধরুন, ঈদ উপলক্ষে বাজারে অনেক ধরনের পোশাক বিক্রি হ”েছ। কোনো পোশাকই কিš‘ ফেলনা না। কোনোটা বেশি বিক্রি হ”েছ, কোনোটা কম বিক্রি হচ্ছে। এখানে চাপ-তাপের কিছু নেই। গল্প ভালো হলে দর্শকদের মুখে মুখে থাকে ছবির নাম। এটাই নিয়ম।
মাসিদ রণ : অল্প সিনেমা হল, কিন্তু অনেক সিনেমা মুক্তির মিছিলে এসেছে। ঈদে হুমড়ি খেয়ে ছবি মুক্তি দেওয়ার প্রবণতাকে কিভাবে দেখছেন?
মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ : আগেই বলেছি, ‘ওমর’ ঈদ মাথায় রেখে বানিয়েছি। অন্যগুলোর মধ্যে শুধু ‘রাজকুমার’ ঈদ উপলক্ষে বানানো। বাকি ছবিগুলো ঈদে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে সেগুলোর প্রযোজক-পরিচালকরা ভালো বলতে পারবেন। তারা নিশ্চয়ই মনে করছেন, তাদের কন্টেন্ট সেরা। সেজন্য তারা আত্মবিশ্বাস নিয়েই ছবি মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখানে ভালো-খারাপের কিছু নেই। সারা বছর বন্ধ থাকলেও ঈদ উপলক্ষে বেশ কিছু সিনেমাহল চালু হয়। ঈদে ভালো ব্যবসা হয় বলেই তো এমন চিত্র দেখি আমরা।
মাসিদ রণ : সবশেষে ‘ওমর’ নির্মাণের অভিজ্ঞতা সংক্ষেপে বলুন...
মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ : ‘ওমর’ নির্মাণের অভিজ্ঞতা এককথায় দারুণ। ছবিটিতে যারা কাজ করেছেন, তারা আমার পরিবারের মতো। তারা প্রত্যেকে অসাধারণ অভিনেতা, আমার জন্য তাদের সামলানো সহজ ছিলো, যেহেতু তাদের আমি পরিবার মনে করি। আমরা শুটিংয়ের আগে আড়াই মাস মহড়া করেছি। ব্যস্ততা সত্ত্বেও সবাই আমাকে সময় দিয়েছেন। আর শুটিং সেটের পরিবেশ থাকতো হাসি-আনন্দ-আড্ডায় মুখর। সব মিলিয়ে আমার এই পরিবার নিয়ে আমি অনেক খুশি।