বিশ্ব সংগীত দিবসে রাজশাহীতে সংগীত সন্ধ্যা

, বিনোদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী | 2023-09-01 21:32:17

 

তুমি নির্মল কর মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে-রজনী কান্ত সেনের এই প্রার্থনা সংগীতের মধ্য দিয়ে ‘গানে গানে বাংলার সাধক শিল্পী’ শিরোনামে রাজশাহীতে শুরু হয় বিশ^সংগীত দিবসের অনুষ্ঠান। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি তাদের মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জয়া মারিয়া পেরেরা। শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সঙ্গীতের যে অপরিসীম শক্তি তা আমাদের সব সময় প্রেরণা যোগায়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণা যুগিয়েছে সঙ্গীত। ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি’ গানটি শুনলে এখনও শিহরণ লাগে। মুক্তিযুদ্ধে আমাদের যাঁদের মন ক্লান্ত হতো, এই গানগুলি তাঁদের শক্তি দিত। সঙ্গীতের এই শক্তি সকল ক্ষেত্রেই আছে। স্কুলে জাতীয় সংগীতে যখন সবাই একসঙ্গে গেয়ে ওঠে, ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি তখন শিশুমনে দেশপ্রেম জাগ্রত হয়। এভাবেই আমরা আমাদের শিশুদের আগামীর জন্য তৈরি করছি।’

তিনি বলেন, ‘পরিশুদ্ধ সমাজ সৃষ্টির জন্য শিল্পীরা কারিগর হিসেবে কাজ করছেন। অপসংস্কৃতির লড়াইয়ের বিরুদ্ধে আমরা যে লড়াই করছি, আপনারা শিল্পীরা এর পাশে আছেন। আজ মঞ্চটা এত সুন্দর করে সাজানো হয়েছে যে এখানে এসেই মনটা ভরে গেছে। জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার আসাদ সরকার এ আয়োজন করেছেন। তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।’

রজনীকান্ত সেনের সংগীতে উদ্বোধনের পর শিল্পী কনক গান নজরুল সংগীত- ‘মোর প্রিয়া হবে এসো রানি দেবো খোঁপায় তারার ফুল।’ এরপর রবীন্দ্র সংগীত নিয়ে আসেন শিল্পী সাথী। তিনি গাইলেন ‘তুমি কোন কাননের ফুল, কোন গগণের তারা’। এরপর একে একে লালনের ‘না জানি কোন সময়ে কোন দশা ঘটে আমার’, শাহ আবদুল করিমের ‘মাটির পিঞ্জিরায় সোনার ময়নারে’, শাহ আলম সরকারের ‘তোমার লেখা গান আমি গান আমি গাইব’, বিজয় সরকারের ‘জানলে আগে এমন করে ব্যথা দিত না প্রাণে’ রাজ্জাক দেওয়ানের ‘এত যে নিঠুর বন্ধু জানা ছিল না’, হাসন রাজার ‘বাউলা কে বানাইল রে’ গান গাইলেন শিল্পীরা। সবশেষে সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হলো ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠ’।

অনুষ্ঠানে কনক ও সাথী ছাড়াও সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী বিবাগী সাজু, মোনালিসা, জেসমিন প্রমুখ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন নুসরাত শারমিন। শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য দেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার আসাদ সরকার।

এ সম্পর্কিত আরও খবর