ঋতু চলে যাওয়ার আট বছর

সিনেমা, বিনোদন

বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 18:07:48

ঠিক আট বছর আগে আজেকের এই দিনে বিনোদন অঙ্গনে নেমে এসেছিলো শোকের ছায়া। ২০১৩ সালের ৩০ মে দর্শক, সহকর্মীদের একলা করে দিয়ে চলে গিয়েছেন সত্যজিৎ পরবর্তী সময়ে বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ।

ঋতুপর্ণ ঘোষ

ঋতুপর্ণ ঘোষের অকাল মৃত্যু আজও মন থেকে মেনে নিতে পারেননি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তাই তো প্রিয় পরিচালকের স্মৃতিতে তার মৃত্যুবার্ষিকীতে ডুব দিলেন স্মৃতির পাতায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন অভিনেতা জানালেন নিজের মনের কথা।

সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘‘৮ বছর হয়ে গেছে তোর কোনো মেসেজ নেই, বকাঝকা নেই, সাক্ষাৎ হয় না, ঝগড়া হয় না, নতুন নতুন গল্প নিয়ে আলোচনা হয় না। কিন্তু তুই আছিস- আমাদের মনে, আমাদের কথাবার্তায় তুই চির বর্তমান। এই সময়টায় তোর থাকা খুব দরকার ছিল রে। ভালো থাকিস ঋতু।’’

ঋতুপর্ণ ঘোষ ও অপর্ণা চ্যাটার্জী

অপর্ণা চ্যাটার্জী লিখেছেন, “আজ ৮ বছর হয়ে গেল তুমি নেই...না আছো শুধু তোমার শরীর টুকু নেই ! অনেক কাজ বাকি রয়ে গেলো তোমার...সেগুলো সময় মতন কোনো এক জন্মে আবার একসাথে করা যাবে! ভালো থেকো, তোমায় সব সময় মনে পরে!”

জয়া আহসান লিখেছেন, ঋতুপর্ণ ঘোষ (৩১ আগস্ট ১৯৬১—৩০ মে ২০১৩)। তার সাহস ছিল চলচ্চিত্রে, সাহস ছিল জীবনে—উন্মোচনের, সীমানা পেরোনোর।

স্মৃতিচারণ করেছেন ঋতুপর্ণের আরেক কাছের মানুষ অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)। তিনি লিখেছেন, ‘‘কতদিন হয়ে গেল তোমার সাথে বসে গল্প করি না, দেখাও হয় না …৮ বছর হয়ে গেল তুমি নেই… শুধু তোমার কাজ, তোমার শিক্ষা, তোমার ভালোবাসা, তোমার বকা আর অনেক আশীর্বাদ আছে সঙ্গে! নতুন করে তোমায় মিস করি না, কারণ কোনওদিন ভুলতেই যে পারিনি তোমায়! অনেক প্রণাম, ভালোবাসা আর তোমার প্রিয় ফুলের সুগন্ধ পাঠালাম। ভাল থেকো।’’

ঋতুপর্ণ ঘোষ

অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তও পোস্ট করেছেন তার প্রিয় ‘ঋতুদা’কে নিয়ে। লিখেছেন, ‘‘আজ ৩০ মে। তার চলে যাওয়ার আট বছর হল। ভালো থেকো ঋতুদা।’’

টলিউডের আরেক ব্যস্ত শিল্পী অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘‘আট বছর আগে আজকের দিনটার স্মৃতি মন থেকে এখনও ভুলে উঠতে পারিনি। ভোররাত থেকেই সেদিন বৃষ্টিতে ভিজেছিল গোটা শহর, আর ভিজেছিলে তুমি। বৃষ্টির অঝোর ধারাকে নিজের ‘দোসর’ পাতিয়ে মেঘপিয়নের দেশে পাড়ি দিয়েছিলে তুমি। সিনেমার বিশাল মহাযুদ্ধে নিজেকে সেদিন অভিভাবকহীন এক সৈনিক ছাড়া আর কিছুই মনে হয়নি। প্রত্যেকটা জেনারেশনের একজন মহীরুহের প্রয়োজন পড়ে, যাকে দেখে বা যার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে চলতে হয়। তোমার চলে যাওয়ায় ওই মুহূর্ত থেকে যে অভাববোধ তৈরি হয়েছিল মনে, তা আজও পূরণ হয়নি, আর হবেও না কোনোদিন। কারণ তুমি তো অনুপম, তোমার দ্বিজ কল্পনাতীত!’’

এ সম্পর্কিত আরও খবর