বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় পঞ্চম উপজেলা নির্বাচন একতরফা হচ্ছে আর এতে ভোটাররা আগ্রহী নয় বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার।
তিনি বলেছেন, ‘জনগণের নির্বাচন ও গণতন্ত্র বিমুখতায় পর্যবসিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যা গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত।’
সোমবার (১৮ মার্চ) নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের ইলেকটেড না বলে সিলেক্টেড বলা যায় কী এমন প্রশ্ন রেখে মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘নির্বাচন মানেই হচ্ছে একাধিকের মধ্যে বাছাই। তাই যা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, তা নির্বাচন হয় কী করে?’
তিনি আরও বলেন, ‘এবারের নির্বাচনের চার ধাপে শতাধিক ব্যক্তি চেয়ারম্যান পদে আসীন হয়েছেন। পরবর্তীতে আরও ৫০ জন সম্ভবত বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসীন হবেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ভাবে জনপ্রতিনিধি পদে আসীন হওয়ার রেওয়াজ গণতন্ত্রের জন্য সুসংবাদ নয়।’
এবারের উপজেলা নির্বাচনকে অপরূপ উল্লেখ ইসি বলেন, এর (নির্বাচনের) মাথাটা হচ্ছে দলীয় প্রতীকে এবং দেহটুকু নির্বাচিত হচ্ছে নির্দলীয় ভাবে।
মাহবুব তালুকদার আরও বলেন, 'কিছুদিন পূর্বে একজন সংসদ সদস্য বলেছেন নির্বাচন যথাযথ মর্যাদায় ফিরিয়ে আনতে হবে।' তার ভাষ্যমতে থেকে প্রশ্ন থেকে যায়, নির্বাচন মর্যাদা হারালো কবে? জাতীয় নির্বাচনের সময়? উপজেলা নির্বাচনের সময়? এ জন্য কে দায়ী সুনির্দিষ্ট করে ঐ সংসদ সদস্য বলেননি।’
নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কার ইসির কাজ নয়, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচন কী পদ্ধতিতে কতখানি উন্মুক্ত হবে তা সরকার ঠিক করে দেয়।’
আগামীতে সব প্রার্থীর সমান সুযোগ নিশ্চিত হলে সকল দল ভোটে অংশ নিবে আশাবাদ ব্যক্ত করে মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘নির্বাচন কখন, কীভাবে হবে পুরো বিষয়টি ইসির কাছে ন্যস্ত করলে ভবিষ্যতে ভোটারদের উপস্থিতির জন্য আর হা-হুতাশ করতে হবে না।’