ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২: কড়া নিরাপত্তায় ভোটগ্রহণ শেষ

বিবিধ, নির্বাচন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বার্তা২৪.কম | 2023-08-27 05:13:58

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের আশুগঞ্জে স্থগিত হওয়া তিনটি কেন্দ্রে নজিরবিহীন নিরাপত্তার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতির কারণে ভোটারদের অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে ভোট দিতে আসেননি বলে মনে করছেন অনেকেই।

সকালেই এই তিনটি কেন্দ্রের মধ্যে যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটগ্রহণের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে ভোট দিতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ভোটাররা। এছাড়া সবকটি এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।

সরেজমিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের তিনটি কেন্দ্রে গিয়ে জানা যায়, (৩০ ডিসেম্বর) অনিয়ম ও সংঘর্ষের কারণে স্থগিত হয় আশুগঞ্জের বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সোহাগপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটগ্রহণ। এই তিনটি কেন্দ্রে ৯ জানুয়ারি পুন:ভোট গ্রহণের জন্য ১ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সময় নির্ধারণ করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

তিনটি কেন্দ্রে মোট ভোটার ১০ হাজার ৫৭৪। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে এই তিনটি কেন্দ্রে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। ভোটগ্রহণের শুরু থেকেই সবকটি ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত।

কিন্তু ভোটকেন্দ্রে এসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতির দেখে ভোটারদের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এর পর থেকে খালি হতে থাকে নির্বাচনের মাঠ। দুপুর ও বিকেলে কেন্দ্রগুলিতে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাংবাদিক ছাড়া তেমন কাউকে দেখা যায়নি। তবে দূরে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত।

যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে আসা মো. কাউছার মিয়া জানান, জীবনে কখনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এত উপস্থিতি চোখে পড়েনি। এত পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি দেখে ভয় পেয়েছিলাম। আমার মতো আরও অনেকেই তাদের দেখে ভয় পেয়েছেন।

সোহাগপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে আসা মরিয়ম বেগম জানান, এত পুলিশ দেখে ভয় করেছিল। সাহস করে নিজের ভোটটা দিতে আসলাম। আর কোন নির্বাচনে এমন পরিস্থিতি আমরা দেখিনি। সামনের দিনে এমন নির্বাচন দেখব কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।

এরই মধ্যে সকালে যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকেই ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছিল না। ভোটাররা বিষয়টি নিয়ে কথা বললেও তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র আনার জন্য। অনেকেই জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে ফেলার কারণে ও নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে ভোট দিতে পারেননি।

এই কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তনিমা আফ্রাদ বিষয়টি স্বীকার করে জানান, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা সকাল থেকেই ভোটারদের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ ভোট দিতে বলি কিছুক্ষণ পরে আবারো ভোটারদের স্বাভাবিক নিয়মে ভোট দিতে দেয়া হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর