স্মার্ট কার্ডে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ লেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি

, নির্বাচন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-01-14 17:55:02

স্মার্ট আইডি কার্ডে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা লেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের মাসিক সভায় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশনা দিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীর। সিদ্ধান্তে বলা হয়, চলতি মাসের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত যারা আবেদন করবেন তাদেরটা আগে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

মাসিক সভার নির্দেশনায় বলা হয়, আগামী ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত যে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা স্মার্ট কার্ড এর জন্য আবেদন করবেন, তাদের মুক্তিযোদ্ধা গেজেট অনুসারে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে যাচাইপূর্বক বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত স্মার্ট কার্ড প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের চিপস-এর নিচে “বীর মুক্তিযোদ্ধা” শব্দটি স্থাপনের বিষয়ে গত বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এতে সর্বসম্মতিক্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের চিপস এর নিচে “বীর মুক্তিযোদ্ধা” শব্দ স্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় তাদের সম্মতি পত্রের মাধ্যমে প্রদান করেন। তবে কোনো “বীর মুক্তিযোদ্ধা” জাতীয় পরিচয়পত্রে “বীর মুক্তিযোদ্ধা” হিসেবে শব্দ স্থাপনের জন্য আবেদন করলে তা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ভেটিং করিয়ে সন্নিবেশ করার সিদ্ধান্ত হয়।

জাতির সেরা সন্তানদের সম্মানার্থে কেএম নূরুল হুদার কমিশন ২০২২ সালে এই কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। ওই বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১০০ জন মুক্তিযোদ্ধার হাতে স্মার্টকার্ড ‍তুলে দেওয়া হয়।

বিগত কমিশন বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী ১ লাখ ৮৩ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে বিশেষ এই স্মার্টকার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এক্ষেত্রে প্রথমবারের মতো কোনো একটি সুনির্দিষ্ট শ্রেণীর জন্য স্মার্টকার্ডের নকশায় পরিবর্তন আনেন তারা। তবে কোনো আলোচনা না করে মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ স্মার্টকার্ড দেওয়ার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের নেই বলে মন্ত্রণালয় আপত্তি জানালে সেই উদ্যোগ বন্ধ হয়ে যায়। 

বর্তমানে সেই উদ্যোগটিই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে ফের চালু করছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন। এক্ষেত্রে কোনো মুক্তিযোদ্ধা বিশেষ এই কার্ড নেওয়ার জন্য কেবল আবেদন করলেই নির্বাচন কমিশনার যথাযথ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তা নিষ্পত্তি করবেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর