সিরাজগঞ্জের ৬ আসনে ২২ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত

, নির্বাচন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ | 2024-01-10 12:20:22

গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে ৩১ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। নির্বাচনে নৌকার ৬জন প্রার্থী বিজয়ী এবং নিকটতম ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ নেতা) ৩ প্রার্থী ছাড়া বাকি ২২জন প্রার্থীরই তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সবচেয়ে কম ১৩৩ ভোট পেয়ে সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে জামানত হারিয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ মনোনীত প্রার্থী গামছা প্রতীকের নুরুল হক।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, কাস্টিং ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট না পেলে ওই প্রার্থী জামানত হারাবেন। সেই হিসাবে সিরাজগঞ্জ জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৩১ জন প্রার্থীর মধ্যে ২২জন প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন।

নির্বাচনে ফলাফল অনুযায়ী, সিরাজগঞ্জ-১ আসনে (কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদরের একাংশ) মোট বৈধ ভোট পড়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ২৮৬। ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে নৌকা প্রতীকের তানভীর শাকিল জয় ২ লাখ ৭৮ হাজার ৯৭১ ভোট পেয়ে টানা দ্বিতীয় বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ৩ জন জামানত হারিয়েছেন। এদের মধ্যে লাঙল প্রতীকের জহুরুল ইসলাম পেয়েছেন ৩ হাজার ১৩৯ ভোট, জাসদ মনোনীত মশাল প্রতিকের বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম ৬০৫ এবং বিএএম মনোনীত নোঙ্গর প্রতীকের সবুজ আলী পেয়েছেন ৫৭১ ভোট।

সিরাজগঞ্জ-২ আসনে (সিরাজগঞ্জ সদরের একাংশ ও কামারখন্দ) মোট বৈধ ভোট পড়েছে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯১। ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে নৌকা প্রতীকের ড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী ১ লাখ ৮৪ হাজার ৮৫৮ ভোট পেয়ে প্রথম বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ৪ জন জামানত হারিয়েছেন। এদের মধ্যে জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙল প্রতীকের আমিনুল ইসলাম ঝন্টু পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৮০ ভোট, জাকের পার্টি মনোনীত আব্দুর রুবেল সরকার পেয়েছেন ২ হাজার ১৫ ভোট, তৃণমূল বিএনপি মনোনীত সোহেল রানা সোনালী আঁশ প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৬৯৭ ভোট এবং ওর্য়ার্কাস পার্টির মনোনীত সাদাকাত হোসেন খান বাবুল হাতুরী প্রতীকে পেয়েছেন ৮৪১ ভোট।

সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ৪ লাখ ১৪ হাজার ৮৪৩। ৫জন প্রার্থীর মধ্যে নৌকা প্রতীকের ডা. আব্দুল আজিজ ১ লাখ ১৭ হাজার ৬৪২ ভোট পেয়ে টানা দ্বিতীয় বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কৃষক লীগ নেতা কৃষিবিদ সাখাওয়াত হোসেন সুইট পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৭০৮ ভোট। বাকি ৩জন জামানত হারিয়েছেন। এদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৬৮৫ ভোট, জাতীয় পার্টির জাকির হোসেন লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ২৪৫ ভোট এবং বিএনএম মনোনীত নোঙ্গর প্রতীকের গোলাম মোস্তফা পেয়েছেন ৯১৬ ভোট।

সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে (উল্লাপাড়া) মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ২ লাখ ৩০ হাজার ৬৭। নৌকা প্রতীকের নতুন মুখ গাজী শফিকুল ইসলাম শফি ২ লাখ ২০ হাজার ১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি দুইজন জামানত হারিয়েছেন। এদের মধ্যে জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের হিল্টন প্রামাণিক ৭ হাজার ৮৮ ভোট এবং জাসদ মনোনীত মশাল প্রতীকের মোস্তফা কামাল বকুল ২ হাজার ৯৬৪ ভোট পেয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে মোট বৈধ ভোট পড়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৪২০। ৬জন প্রার্থীর মধ্যে নৌকা প্রতীকের আব্দুল মমিন মন্ডল ৭৭ হাজার ৪২২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল লতিফ বিশ্বাস পেয়েছেন ৭৩ হাজার ১৮৩ ভোট। বাকি ৪জন জামানত হারিয়েছেন। এদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকের আব্দুল্লাহ আল মামুন ২ হাজার ২০০ ভোট, জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙল প্রতীকের ফজলুল হক ২৬৯ ভোট, বিএনএম মনোনীত নোঙ্গর প্রতীকের আব্দুল হাকিম ২১৩ ভোট এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ মনোনীত গামছা প্রতীকের নুরুল হক পেয়েছেন ১৩৩ ভোট।

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে মোট বৈধ ভোট পড়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৩৭৫। ৮ জন প্রার্থীর মধ্যে নৌকা প্রতীকের নতুন মুখ চয়ন ইসলাম ১ লাখ ২৮ হাজার ৮৯০ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা হালিমুল হক মিরু ২৫ হাজার ৬৭৬ ভোট পেয়েছেন। বাকি ৬জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। এদের মধ্যে বিএসপি মনোনীত একতারা প্রতীকের কাজী মো. আলামিন পেয়েছেন ২৪৩ ভোট, তৃণমূল বিএনপির তারিকুল ইসলাম সোনালী আঁশ প্রতীকে ৩৭৮ ভোট, বিএনএম মনোনীত মোহাম্মদ শামীম নোঙ্গর প্রতীকে ২১১ ভোট, জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী মোক্তার হোসেন ৭০৭ ভোট, জাসদের মোজাম্মেল হক মশাল প্রতীকে ৯৫২ ভোট ও ওর্য়ার্কাস পার্টির রেজাউল করিম খান হাতুড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৩০৮ ভোট।

এ সম্পর্কিত আরও খবর