সিইসি যোদ্ধার মতো নির্বাচনে নেতৃত্ব দিয়েছেন: মাহবুব তালুকদার

বিবিধ, নির্বাচন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 13:13:19

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং যোদ্ধার মত তিনি নির্বাচনের এই বিশাল কর্মযজ্ঞে সবাইকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

তিনি বলেন, ‘এই বিশাল কর্মযজ্ঞের কেন্দ্রবিন্দু নির্বাচন কমিশনের সচিব মহোদয় ও তার নির্বাচন সৈনিকেরা। তারা যে কী নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই নির্বাচনকে সফল করেছে। এটি অভিজ্ঞার সঞ্চার হয়ে থাকবে। মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং যোদ্ধার মত তিনি এই বিশাল কর্মযজ্ঞে সবাইকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।’

বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) বিকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘আপনারা জানেন আমাদের নির্বাচনের কোন ধারাবাহিকতা নেই। কিংবা ছিলো না। আমরা কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করেছি। কখনো সেনাসমর্থিত সরকারের অধীনে নির্বাচন করেছি। কখনো নির্বাচন করেছি দলীয় সরকারের অধীনে কিন্তু তা অংশীদারমুলক হয়নি। এই প্রথম একটি অংশীদারমুলক ও অংশগ্রহণমুলক নির্বাচন আমরা জাতিকে উপহার দিতে পেরেছি। এই নির্বাচন বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে একটি ঐহিত্য সৃষ্টি করবে। এই নির্বাচনের পথ ধরে পরবর্তী নির্বাচনের ধারা ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে।’

নির্বাচন অনুষ্ঠানকে বিশাল কর্মযজ্ঞ উল্লেখ করে এই কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচন যে এত বড় কর্মযজ্ঞ সেই বিষয়ে সত্যিই আমার কোন ধারণা ছিলো না। কারণ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কাজ করার কোন সুযোগ বা নির্বাচন সচিবালয়ে কাজ করার সুযোগ আমরা জীবনে আমার হয়নি। এখানে এসে বিশাল কর্মকাণ্ড দেখে আমার জীবনের বিশাল অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পেরেছি।’

বর্তমান কমিশনে কাজ করতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান উল্লেখ করে মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘আমি খুবই ভাগ্যবান ব্যক্তি। কারণ, সরকারি চাকরি করার সময় আমার বঙ্গভবনে পাঁচ বছর কাজ করার সুযোগ হয়েছে। চার জন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আমার সরাসরি কাজ করার সুযোগ হয়েছিল। আর জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ চার জন নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে আমার আবার কাজ করার সুযোগ হয়েছে সম্ভবত পাঁচ বছরব্যাপী। সেই জন্য জীবনের প্রথম পর্যায়ে আমলা হিসেবে পাঁচ বছর এবং শেষ সময়ের এই পাঁচ বছর আমার জীবনের গৌরবগাঁথা হয়ে থাকবে।’

সিইসি ও অন্যান্য কমিশনারদের সঙ্গে নিজের সুসম্পর্ক বজায় থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কমিশনের যাদের সঙ্গে আমার প্রতিদিনই দেখা হয়। আল্লাহর অপরিসীম অনুগ্রহ যে তাদের সঙ্গে দুই বছরের কাছাকাছি সময় অতিবাহিত করেছি এবং আরো তিন বছর অতিবাহিত করতে পারবো বলে আশা করি। তাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক যে এত নিবির যা কখনো হয়নি, হওয়া সম্ভবও নয়। তাদের সঙ্গে অত্যন্ত আপনজনের মত সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আর মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে আমার একটা মধুর সম্পর্ক রয়েছে। যেটার জন্য আমি আনন্দিত ও গর্বিত।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর