ভোট নিয়ে যা বললেন হিরো আলম

বিবিধ, নির্বাচন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বগুড়া, বার্তা২৪.কম | 2023-12-13 20:19:03

বগুড়া-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম মারধরের শিকার হয়েছেন এবং ধাওয়া খেয়ে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন। এ কারণে ভোট বর্জন করেছিলেন তিনি।

 

রোববার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরের পর বগুড়া শহরে এসে সাংবাদিকদের সামনে তার ওপরে করা হামলার বর্ণনা দেন হিরো আলম। তার বর্ণনা হুবহু তুলে ধরা হলো।

‘আজকে জানেন, আমরা নির্বাচন খুবই উপভোগ করতিছিলাম। কিন্তু ভোটের মাঠে যায়া দেখি বিকল্প। আজকে যে হামি ভোটের মদ্দে কাহালু-নন্দীগ্রাম আসনোত গেলাম। প্রথমে একটা ভোট কেন্দ্রে গেলাম। যায়া দেখতিছি ওখানে ভোট দিতে দিচ্ছে না। ক্যা? কচ্চে সব ভোট হয়া গ্যাচে তোমরা চলে যাও। হামি কনো ১১টার আগেই ভোট হয়া গেল, এতো সকালেই? কচ্চে ব্যালট ফুরে গ্যাচে। এতো সকালেই কীভাবে ব্যালট ফুরে গ্যালো? এই কতা কচ্ছি ক্যা, ওটি হামাক ধাক্কাধাক্কি করে সগলি বার করে দিল।

গেলাম আর একটা ইউনিয়নে, সেখানে কচ্চে নৌকা ছাড়া কুনু ভোট হবি না। এখান থ্যাকে সবাই চলে যাও। ওখানে গেলাম, ওখানেও গন্ডগোল। তারপরে আসনো ভাদুড়া গ্রামে, এখানে অ্যাসে কলাম ব্যাপার কী? এখানে কী হচ্ছে? হামি ঢুকতেই দেকি একজন দৌড় মারিচ্চে। তাক কনো কী ব্যাপার তুমি দৌড় মারলু ক্যা? কচ্চে ওরা তো মারধর করে বার করে দিচে। সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্তদের হামি জিজ্ঞেস করায় হামারে কয় এতথ্যোকে বাড়া। হামি কনু বাড়াবের কন কিসোক? কচ্চে কতা কম ক। তাই কয়া লাত্তিলুত্তি ম্যারে ধাক্কা মারে। হামার যারা কর্মী তারকরোকও মারধর করছে। সবগুলোই আওয়ামী লীগ, অন্য কোনো দল নাই, ওরকেরে গাওত লোগো মারা ছিল নৌকো মার্কার। ডাইরেক আওয়ামী লীগ।

ওরা যে মারচে হামাক কাছে তার ভিডিও কিলিপ আচে, আপনারা চাইলে দেখাইতেছি। দুডে সাংবাদিক আচলো, সাংবাদিকোক সুদ্দ মারচে।

নন্দীগ্রাম পাইলট হাইস্কুর মাঠে আসলাম, এখানে আসে দেকি লোক লাইনে, দুনের লাইন। হামি গেলাম কলাম এতো লাইন কী ব্যাপার? লোকজন কচ্চে ভোট তো দেওয়া যাচ্চে না, অনেকক্ষণ থ্যাকে দাঁড়ে আচি। ভেতরে ঢুকলাম, ভেতরে যায়া দেকি, কুনু ব্যালট নাই। কী ব্যাপার ব্যালট নাই, তোমরা বসে ক্যা? কচ্চে-ব্যালট ফুরে গ্যাচে। হামি কনো ১২ডার আগে ব্যালট ফুরে গেলো ঘটনা কী? ব্যালট কই গেল এতো সকালে? কয় ব্যালট আনতে গ্যাচে। ওটি পিসাইডিং অফিসারের দ্যাকার তো সময়ই ন্যাই।

নির্বাচন কমিশনার যে বলল সারা দেশে আপনাকেরে সেনা বাহিনী, র‌্যাব, বিডিআর সব হামরা দিয়ে রাকছি। মাঠে তো এক পুলিশ ছাড়া কুনু সেনা বাহিনী, র‌্যাব নাই, বিডিআর নাই। কুনু কেন্দ্রে লোক নাই। অভিযোগ করার সময় কুটি পালিন, ওটি তো মারে খালি কয় বাড়া। অভিযোগ করার তো সময়ই দিল না হামাকোরোক। মার খাপওয়ার পরই তো এটি আসলাম।

এই নির্বাচন কুনুদিন সুষ্ঠু হতে পারে না। এই ভোট হামি মানি নে। তাই ভোট বর্জন করছি। আমার আজকে যে পজিশন, আমি বিপুল ভোটে জয়ী হইতাম। পুনরায় বোট দাবি করতেচি এবং নির্বাচন কমিশনের যারা আচে এরকেরেও বাতিল করার দাবি করতেচি। এরকেরেকও বাতিল করা লাগবি।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর