রংপুরে ১৭৫ কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ চলছে

বিবিধ, নির্বাচন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর, বার্তা২৪.কম | 2023-08-27 18:56:04

 

নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে উত্তরের বিভাগীয় নগরী রংপুরে চলছে ভোটগ্রহণ। রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল আটটায় একযোগে ১৭৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে।

রংপুর জেলার সংসদীয় ছয়টি আসনের মধ্যে শুধুমাত্র রংপুর-৩ আসনটিতে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনে-ইভিএম ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। বাকি পাঁচটি আসনে পূর্বের পরিচিত ব্যালেট পেপার আর সিল-কালির মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলছে।

এবারই প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশের ছয়টি আসনে ভোটগ্রহণে ইভিএম ব্যবহার হচ্ছে। এরমধ্যে রংপুর-৩ আসনটি রয়েছে। সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন এবং সিটি কর্পোরেশন এলাকার ২৫টি ওয়ার্ড নিয়ে রংপুর-৩ আসন। এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৪১ হাজার ৬’শ ৭১ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ২১ হাজার ১০৯ জন এবং নারী ভোটার রয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার ৫৬২। এখানকার ১৭৫টি কেন্দ্রের ৯০৬টি ভোটকক্ষে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা।

সকাল সাড়ে আটটায় রংপুর মহানগরীর ২১নং ওয়ার্ডের আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে কথা হয় হাজীপাড়া এলাকার ভোটার এম এ মজিদের সাথে। তিনি ইভিএম পদ্ধতিকে স্বাগত জানিয়ে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সকাল সকাল এসেই ভোটটা দিলাম। লম্বা লাইন নেই। কোনো ঝামেলাও নেই। ভোটের পরিবেশেও বেশ সুন্দর।’

এসময় তিনি ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দেয়াকে সহজ ও স্বচ্ছ দাবি করেন তিনি। চাকরিজীবী এ ভোটার বলেন, ‘ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনে ভোট নষ্ট বা জাল ভোট দেয়ার কোন সুযোগ নেই। এই সিস্টেমই ভালো।’

এদিকে রংপুর-৩ আসনের নয় প্রার্থীর মধ্যে মহাজোটের মনোনীত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ (লাঙ্গল) অসুস্থতার কারণে রংপুরে ভোট দিতে আসেন নি। বাকি আটজনের মধ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী রিটা রহমান (ধানের শীষ) রংপুরের ভোটার না হওয়ায় তিনিও নিজেকে ভোট দিতে পারছেন না।

অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আমিরুজ্জামান পিয়াল (হাতপাখা), পিডিপি’র সাব্বির আহম্মেদ (বাঘ), জাসদের সাখাওয়াত হোসেন রাঙ্গা (মশাল), বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির আনোয়ার হোসেন বাবলু (কোদাল), জাকের পার্টির আলমগীর হোসেন আলম (গোলাপ ফুল), খেলাফত মজলিসের উপাধ্যক্ষ তৌহিদুর রহমান রাজু (দেওয়াল ঘড়ি) ও এনপিপি’র ছামসুল হক (আম) নিজ নিজ কেন্দ্রে ভোট দিবেন বলে জানা গেছে।  

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ছয় স্তরের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ে পুরো রংপুরকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে নেয়া হয়েছে। যে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অধিক গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) কেন্দ্রসহ প্রতিটি কেন্দ্রে ও বাহিরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনীর সদস্যরা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে রয়েছে। আইনশৃংখলা বাহিনীর এসব স্ট্রাইকিং ফোর্সকে পরিচালনা ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর