টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসবেন কি না, তা নির্ধারণ করতে ভোট দেবেন ভোটাররা। রোববার জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে দেশে। তবে বর্তমান সরকারের ১০ বছরের আমলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুখ্যাতি থাকলেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে দুর্নামও রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ পত্রিকা 'দ্য গার্ডিয়ান'এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন এসব কথা বলা হয়।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় হামলা-মামলার পরও দেশের নির্বাচনী পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুকূল রয়েছে। কিন্তু বিরোধী দলগুলোর দাবি ও অভিযোগ নিয়ে দেশের চলমান পরিস্থিতি ৪৭ বছরের ইতিহাসে 'শ্বাসরুদ্ধকর' বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নির্বাচনে কয়েক মাস আগে আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনার প্রতিদ্বন্দ্বী খালেদা জিয়াসহ বিরোধীপক্ষের অসংখ্য নেতাকর্মীকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এমনকি গুমের ঘটনাও অনেকে। এছাড়া নির্বাচনে পর্যবেক্ষণকারী দেশি বিদেশি বিভিন্ন সংগঠনের নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের বাংলাদেশে যাওয়ার জন্য ভিসা দিতে অপ্রয়োজনীয়ভাবে দেরি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে দ্য গার্ডিয়ানের পক্ষ থেকে ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন সঙ্গে কথা বলা হলে, তিনি বলেন, 'প্রতিপক্ষের কর্মীদের ওপর পুলিশের হয়রানি নজিরবিহীন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জোটের ৭০ জনের বেশি প্রার্থীর মিছিল ও দলীয় কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে। তাই তারা এখন নির্বাচনী কার্যক্রম চালাতে ভয় পাচ্ছেন।'
এদিকে দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে ইন্টারনেট সেবা সীমিত করার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, 'নির্বাচনের আগে ভুয়া প্রচার ঠেকানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কয়েকবার ইন্টারনেট সেবা সীমিত করেছে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। দেশজুড়ে ইন্টারনেট সেবার গতি কমানো হয়। কয়েক ঘণ্টার জন্য থ্রি-জি ও ফোর-জি সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।'
বার্তা সংস্থা এএফপিতে নাম প্রকাশ না করা বিটিআরসির এক কর্মকর্তার সাক্ষাৎকারের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'টেলিকম অপারেটরদের বৃহস্পতিবার রাতে থ্রি-জি ও ফোর-জি সেবা বন্ধে নির্দেশ দেওয়া হয়। ভুয়া প্রচার রোধ ও ইন্টারনেটে বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট ছড়ানো রোধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অবশ্য ১০ ঘণ্টা পর শুক্রবার সকালে ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক করা হয়।'