ভোটের আগে-পরে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করবে সশস্ত্র বাহিনী

বিবিধ, নির্বাচন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-11 13:22:10

আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী ভোটের মাঠে থাকবে। ভোটের পূর্বে ও পরে শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে দায়িত্ব পালন করবে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।

জানা গেছে, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা-উজেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান করবেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী রির্টার্নিং অফিসারের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে টহল ও অন্যান্য অভিযান কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে বলা হয়েছে, রিটার্নিং অফিসার সহায়তা কামনা করলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা দেবেন তারা। রিটার্নিং অফিসার বা প্রিজাইডিং অফিসারের চাহিদার প্রেক্ষিতে ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে কিংবা ভোট গণনা কক্ষের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে দায়িত্ব পালন করবে সশস্ত্র বাহিনী।

‘ইন্সট্রাকশন রিগার্ডিং ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি অনুযায়ী সশস্ত্রবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও উপকূলীয় এলাকায় নৌ-বাহিনী প্রয়োজন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে।

পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, ঝুঁকির বিবেচনায় প্রতিটি জেলায় নিয়োজিত সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের সংখ্যা রিটার্নিং অফিসারের সাথে সমন্বয় করে কম বা বেশি করা যাবে। প্রতিটি স্তরে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সেনা সদস্য সংরক্ষিত (রিজার্ভ) হিসেবে মোতায়েন থাকবে।

জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে একটি কেন্দ্রীয় কো-অর্ডিনেশন সেল থাকবে। কেন্দ্রীয় সেলের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে জয়েন্ট কো-অর্ডিনেশন সেল স্থাপন করা হবে।

কেন্দ্রীয় সেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, তথ্য মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধি ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিনিধি থাকবেন। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে ২৭ ডিসেম্বর তারিখে স্থাপিত জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধি থাকবেন।

বিমান বাহিনী প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমান জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও বাহিনীসমূহের অনুরোধে উড্ডয়নে সহায়তা দেবে। ইলেক্টনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবে সশস্ত্র বাহিনী। এই দায়িত্ব পালনকালে তারা কোনো ধরনের অস্ত্র বা গোলাবারুদ বহন করবেন না।

এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হবে না। তবে তারা গ্রেফতার করতে পারবে। তাদের সেই ক্ষমতা দেওয়া আছে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর