শেয়ারবাজার উন্নয়নের অর্থ ব্যয় হবে নির্বাচনে

বিবিধ, নির্বাচন

আসিফ শওকত কল্লোল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 03:46:35

আসন্ন নির্বাচনের অতিরিক্ত অর্থের ঘাটতি মেটাতে চলতি অর্থ বছরে শেয়ার ও মূলধন খাতে বরাদ্দ থেকে ২০০০ কোটি টাকার তহবিল অপ্রত্যাশিত খাতে স্থানান্তর করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সরকারি অর্থ ও বাজেট ব্যবস্থাপনা আইন-২০০৯ অনুযায়ী অপ্রত্যাশিত খাতে নতুন বরাদ্দ দিতে হলে জাতীয় সংসদে বিল পাস করাতে হয়। কিন্তু এই মুহূর্তে বিল পাস করানো প্রায় অসম্ভব। কারণ বর্তমানে সংসদ থাকলেও অধিবেশন মূলতবি আছে।

জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরে অপ্রত্যাশিত খাতে ২০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। এই বরাদ্দ দেশের দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যবহার না করে গত পাঁচ মাসে শিক্ষকদের পেনশন, পুরাকীর্তি রোজ গার্ডেন কিনতে ব্যয় করা হয়। এছাড়াও নির্বাচনে টহল বাবাদ আনসার-ভিডিপি’র জন্য অপ্রত্যাশিত খাত থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়।

অর্থ বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কম’কে জানান, আসন্ন নির্বাচনে অতিরিক্ত ব্যয় ধরা হয়েছে ৬০০ কোটি টাকা। কিন্তু এই খাত থেকে অর্থ নেওয়ার আগেই সব বরাদ্দ শেষ হয়ে গেছে। তবে ২৪ ডিসেম্বর সেনাবাহিনী নামলে নির্বাচনী ব্যয় আরো বাড়বে।

জানা গেছে, গত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে অপ্যত্যাশিত খাতে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। আর ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ২০০০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু গত ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত এ খাত থেকে খরচ হয় এক হাজার ৩৬৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা বা বরাদ্দের ৬৮ শতাংশ। আর অবশিষ্ট অর্থ গত নভেম্বরে শেষ হয়।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জা আজিজুল ইসলাম বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘চলতি বাজেটের এ থোক বরাদ্দ এতো তাড়াতাড়ি শেষ হওয়া অস্বাভাবিক। আর শেয়ার মূলধন খাত থেকে এ অর্থ অপ্রত্যশিত খাতে আনা অবশ্যই বাজেট শৃঙ্খলার পরিপন্থী। তবে জাতীয় সংসদের অধিবেশন না থাকলে অবশ্যই প্রেসিন্ডেটের অনুমোদন নিতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘থোক বরাদ্দ থেকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অর্থ খরচ করা উচিৎ নয়। বিশেষ করে এ অর্থের পরিমাণ যদি হয় ৩০০-৫০০ কোটি টাকা হয়। এখন দেশের শেয়ার বাজারের উন্নয়নে বরাদ্দ অর্থ দিয়ে নির্বাচনের ব্যয় মেটানো ছাড়া সরকারের আর কোনো উপায় নাই।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর