কক্সবাজার-২: চাচা-ভাতিজার ভোট যুদ্ধ

বিবিধ, নির্বাচন

মুুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কক্সবাজার, বার্তা ২৪.কম | 2023-09-01 04:16:09

কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে এবার ভোট যুদ্ধ হবে চাচা-ভাতিজার মধ্যে। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে মহাজোট তথা আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়েছেন সাবেক সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক।

অপরদিকে নানা আইনি জটিলতায় আশঙ্কা সৃষ্টি হলেও তা কাটিয়ে আশেকের চাচা ও সাবেক দু’বারের সাংসদ আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ ঐক্যফ্রন্ট তথা বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর চাচা-ভাতিজার ভোট যুদ্ধের অপেক্ষায় মহেশখালী-কুতুবদিয়াবাসী।

জানা যায়, ২০১৪ সালে বিনা ভোটের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সাংসদ নির্বাচিত হন ভাতিজা আশেক উল্লাহ রফিক। ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হারিয়ে প্রথমবারের মত সাংসদ নির্বাচিত হন। এরপর ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ তথা নৌকা প্রতীকের প্রার্থী, বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তাফাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে দ্বিতীয়বারের মতো সাংসদ নির্বাচিত হন আলমগীর ফরিদ।

বর্তমান নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আশেক উল্লাহ রফিকের পিতা মরহুম অ্যাডভোকেট রফিক উল্লাহ চৌধুরী ও বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী আলমগীর ফরিদ সম্পর্কে আপন চাচাতো-জেঠাতো ভাই।

কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের রাজনৈতিক বোদ্ধাদের মতে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মূলত লড়াই হবে চাচা-ভাতিজার মধ্যে। চাচা-ভাতিজার এই ভোট যুদ্ধে শেষ হাসি কে হাসবে সে জিজ্ঞাসার জবাব পেতে আপাতত আগামী ৩০ ডিসেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ভক্ত ও সমর্থকদের।

এর আগে, চাচা আলমগীর ফরিদকে তার প্রার্থিতা ও দলীয় প্রতীক পেতে বেশ ভুগিয়েছে আইনি জটিলতা। পাশাপাশি জোটগতভাবে তিনি দলের চূড়ান্ত মনোনয়নও পাননি।

তার বিপরীতে জামায়াতের হামিদুর রহমান আযাদকে প্রার্থী ঘোষণা করে ২৩ দলীয় জোট। কিন্তু আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে উচ্চ আদালতের নির্দেশ মতে তাকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।

উল্লেখ্য যে, আলমগীর ফরিদ বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২৩ দলীয় জোট থেকে জামায়াত নেতা হামিদুর রহমান আযাদকে মনোনয়ন দেয়া হয়। ফলে দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছিলেন আলমগীর ফরিদ। তাই নির্বাচন কমিশনের কাছে দলীয় প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার সুপারিশ জমা দিতে পারেনি তিনি। তাই নির্বাচনী বিধি মতে, আপনা আপনিই তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর