সাতক্ষীরায় নির্বাচনী মাঠে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের নেতাকর্মীরা। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা ভোটের মাঠে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। গুজব ছড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকজনদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন সাতক্ষীরা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ও ১৪ দলের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ১৪ দলীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা এম মুনসুর আহমেদ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওয়ার্কার্স পাটির জেলা সভাপতি মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেন, ‘সাতক্ষীরা-১ আসনে ২০ দলীয় জোটের ধানের শীষের প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব তারই দলীয় নেতা আমানউল্যাহ আমান, আলতাফ হোসেন ও মির্জা মাসুদ জুয়েলসহ কয়েকটি হত্যা মামলার শীর্ষ আসামি। জেলা বিএনপির কোনো নেতা তার পক্ষে নেই। দলীয় নেতাদের খুন করার কারণে বিএনপির মধ্যে দলীয় কোন্দল চরমভাবে প্রকট। বিএনপির একাংশ তাকে দেখতে চায় না। ফলে বিএনপির নেতাকর্মীরা মারামারি করলে তার দায় পড়ছে ১৪ দলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু তাই নয়, হাবিবুল ইসলাম হাবিব কলারোয়ায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী থাকা অবস্থায় ২০০২ সালে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল। শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা চালিয়েছিল হাবিব। ২০১৩-১৪ সালে বিএনপি-জামায়াত সাতক্ষীরার ১৬জন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষকে হত্যা করেছিল। গাছ কেটে, রাস্তা কেটে সাতক্ষীরাকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করেছিল। সেই বিএনপি-জামায়াত আবার স্বমূর্তিতে ফিরে আসায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।’
১৪ দলে নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের আদর্শিক জোট এবং মহাজোট হচ্ছে নির্বাচনী জোট। জাতীয় পার্টি ১৪ দলের কেউ নয়। মহাজোটগতভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের আসন বরাদ্দ দিয়েছেন। শেখ হাসিনার বরাদ্দকৃত নির্বাচনী প্রতীক নৌকা। মহাজোটে যারা নৌকা পায়নি তারা স্ব স্ব দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করছেন। তাদের সাথে ১৪ দলের কোন বিরোধ নেই।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আইনি জটিলতায় বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিচার আজও সম্পন্ন হয়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু আহমেদ, জাসদ নেতা আশেক-ই-এলাহী, শেখ ওবায়দুস সুলতান বাবলু, ইদ্রিস আহমেদ, ওয়ার্কর্স পার্টির অ্যাডভোকেট ফাহিমুল হক কিসলু, সাম্যবাদী দলের তরিকুল ইসলামসহ অর্ধশত নেতাকর্মী।