জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে যা আছে

বিবিধ, নির্বাচন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-24 14:29:54

'প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ' শিরোনামে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০১৮ ইশতেহার (প্রতিশ্রুতি) ঘোষণা করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মতিঝিল পূর্বাণী হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ইশতেহারের সারসংক্ষেপ পাঠ করেন। এর আগে লিখিত বক্তব্য দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন।

নির্বাচনে বিজয়ী হলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যেসব কাজ সম্পন্ন করবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো-

প্রতিহিংসায় বা জিঘাংসা নয়, জাতীয় ঐক্যই লক্ষ্য:

ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা; নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনী আইন ও নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার; মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ; ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিতকরণ; স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা এবং বিকেন্দ্রীকরণ; তরুণদের কর্মসংস্থান; শিক্ষা; দুর্নীতি দমন; স্বাস্থ্য; খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ; মাদক নিয়ন্ত্রণ;  আইন শৃঙ্খলা বাহিনী; আদালত; কৃষি ও কৃষক; শিল্পায়ন; শ্রমিক কল্যাণ; ব্যাংকিং খাত, শেয়ারবাজার ও বাজেট; বিদ্যুৎ ও জ্বালানি; সামাজিক নিরাপত্তা; বয়োবৃদ্ধ; নারীর নিরাপত্তা এবং ক্ষমতায়ন; নিরাপদ সড়ক, যাতায়াত এবং পরিবহন; প্রবাসী কল্যাণ; গণমাধ্যম; ডিজিটাল প্রযুক্তি; সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গিবাদ; ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী; ক্রীড়া ও সংস্কৃতি; জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ; জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ; বর্তমান সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প; মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধা; প্রতিরক্ষা; পররাষ্ট্রনীতি এবং অন্যান্য।

ইশতেহারের ৬ নাম্বার প্রতিশ্রুতিতে তরুণ সমাজকে লক্ষ্য করে দেয়া হয়েছে নানা প্রতিশ্রুতি। তরুণদের কর্মসংস্থান পর্বে পুলিশ এবং সামরিক বাহিনী ছাড়া সরকারি চাকরিতে প্রবেশের জন্য কোন বয়সসীমা থাকবে না, সরকারি চাকরিতে শুধুমাত্র অনগ্রসর জনগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা ছাড়া আর কোন কোটা থাকবে না, ত্রিশোর্ধ্ব শিক্ষিত বেকারের জন্য বেকার ভাতা চালু করা হবে।

দুর্নীতি দমন প্রসঙ্গে ইশতেহারে বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশনতে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়া হবে, দুর্নীতিবাজ সরকারী কর্মকর্তা গ্রেফতারে সরকারের অনুমতির বিধান বাতিল করা হবে।

মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণে বলা হয়েছে, মত প্রকাশের ক্ষেত্রে মানুষ র্পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করবে, গণমাধ্যমের উপর কোন রকমের নিয়ন্ত্রণ থাকবে না, সামাজিক গণমাধ্যমে মত প্রকাশের ক্ষেত্রে সরকারি বিধি নিষেধ থাকবে না, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের সমালোচিত ধারাগুলো সংশোধন করে আইনের  প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার বিতর্কিত ধারাগুলো বাদ দিয়ে সেগুলোকেও স্বাধীন মতপ্রকাশের অনুকুল করা হবে।

ক্ষমতার ভারসাম্যের কথাও বলা হয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে। বলা হয়েছে, সংবিধানের ১১৫ এবং ১১৬ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে নিম্ন আদালতকে পুরোপুরি সুপ্রীম কোর্টের অধীনে নেয়া হবে, সংসদের উচ্চকক্ষ সৃষ্টি করা হবে, সকল অংশীজনের সাথে আলোচনার মাধ্যমে উচ্চকক্ষের গঠন প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা হবে, প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্টপ্রতির ক্ষমতার ভারসাম্য আনা হবে, পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকা যাবে না, বিরোধী দলের সাংবিধানিক মর্যাদা নিশ্চিত করা হবে, রাষ্ট্র পরিচালনায় বিরোধী দলের মতকে যথাযথ গুরুত্ব দেয়া হবে।

কর্মসংস্থানকে প্রধান্য দিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল সংস্কারের জন্য কমিশন গঠন করা হবে, বেসরকারি শিক্ষা পুরোপুরি ভ্যাট মুক্ত করা হবে, পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হবে, প্রশ্নফাঁস বিরোধী সেল গঠন এবং প্রশ্ন ফাঁস রোধে কার্যকর আইন প্রণয়ন করা হবে, কর্মমূখী শিক্ষায় আগ্রহীদের বৃত্তি প্রদান করা হবে, মাদরাসা শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষা দিয়ে বিদেশে কর্মসংস্থান করার প্রতিশ্রুতিও রয়েছে এই ইশতেহারে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর