অবশেষে সকল রাগ, ক্ষোভ, অভিমান ভুলে গিয়ে নৌকাকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন রাজশাহী-১ আসনে সেভেন স্টার নামে পরিচিত গোদাগাড়ী-তানোরের ৭ আওয়ামী লীগ নেতা। তারা সবাই মনোনয়নের জন্য যুদ্ধ করেছিলেন। মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে ওই সেভেন স্টার একযোগে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরোধিতাও করেছেন।
তবে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে ওমর ফারুক চৌধুরী নিজে উদ্যোগী হয়ে ওই সেভেন স্টার নামে পরিচিত নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। এরপরে বুধবার থেকে নির্বাচনী মাঠে সেভেন স্টারের সঙ্গে ফারুক চৌধুরীর মিলের কথা ছড়িয়ে পড়ে। এমন সংবাদে নৌকার সমর্থকরা বেশ খুশি।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘এতদিন নিজেদের মধ্যে যা কিছু ঘটে গেছে তা সবকিছু ভুলে গিয়ে শেখ হাসিনার নৌকাকে বিজয়ী করার জন্য আমাদের এক হওয়া প্রয়োজন। আমাদের মধ্যে দূরত্ব থাকলে অন্যরা সুযোগ নিতে পারে। আওয়ামী লীগ একটি বৃহৎ দল। এখানে চাওয়া পাওয়া বেশি থাকতেই পারে। প্রার্থী হতে চাওয়া কোনো অপরাধ না। দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিজয়ের জন্য আমাদের এখন এক হয়ে কাজ করতে হবে। তাই আসুন আমরা রাগ, অভিমানকে দূরে রেখে নৌকার বিজয়ে এক সঙ্গে কাজ করি।’
এ সময় সেভের স্টার নামে পরিচিত জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য গোদাগাড়ী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান একেএম আতাউর রহমান খান, বদরুজ্জামান রবু মিয়া, অ্যাড. মকবুল হোসেন খান, গোদাগাড়ী পৌর সভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বাবু, তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মুণ্ডুমালা পৌর সভার মেয়র গোলাম রাব্বানী ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা অ্যাড. আব্দুল ওহাব জেমসও একমত পোষণ করেন।
তারা বলেন, ‘শেখ হাসিনার নৌকাকে বিজয়ী করতে আমাদের এক হতে কোনো বাধা নেই। এখন হতে নৌকার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে কাজ করতে হবে।’ তবে ওই বৈঠকে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মতিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন না।
সকলের একমত হয়ে কাজ করার সত্যতা নিশ্চিত করে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ঐক্য হয়েছে। এখন হতে আমরা এক সঙ্গে কাজ করব। আগামী ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে শহীদ ফিরোজ চত্বরে নির্বাচনী সভায় আমরা এক মঞ্চে উপস্থিত হব।’ ওই সমাবেশে ওয়ার্ড পর্যায়ের সকল নেতাকর্মীকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর আগে বর্তমান এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরোধিতা করে ওই সাতজন নেতা নিজেরাই আগামী জাতীয় সংসদের প্রার্থিতা ঘোষণা করেন। দীর্ঘদিন তারা নিজেদের মতো প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যান। এক সময় এমপি ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে তাদের বিরোধিতা চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। এতে ঘটে যায় অনেক কিছুও। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শেখ হাসিনার নির্দেশে সকল রাগ, ক্ষোভ ভুলে গিয়ে সকলেই নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য এক হলেন।
এমপি ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে সেভেন স্টার নামে পরিচিত নেতাদের মিল হওয়ার খবরে সকলেই তাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।