ঢাকা-৭ আসনে বইছে নির্বাচনী আমেজ

বিবিধ, নির্বাচন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪ | 2023-08-26 01:07:19

রাজধানীর ব্যবসায়ের প্রাণকেন্দ্র পুরান ঢাকা। খুচরা থেকে পাইকারি প্রায় সব ধরনের বাজারের কেন্দ্রস্থল যেন এটি। লালবাগ, বংশাল, হাজারীবাগ, চকবাজার, সদরঘাট এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৭ আসন।

প্রায় ৩ লাখ ২৮ হাজার ভোটার ভোট দিবেন ১২০টি ভোট কেন্দ্রে। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের বাকি আছে আর মাত্র কিছুদিন। তাই এই আসনের আওতাধীন সকল জায়গায়ই যেন বইছে নির্বাচনী আমেজ।

চকবাজার থেকে বংশাল যেতে প্রায় সবগুলো সড়কেই চোখ বুলালে দেখা যাবে ব্যানারের ছড়াছড়ি। বিশেষ করে হাজী সেলিমের পক্ষে নৌকায় ভোট চেয়ে ব্যানার, পোস্টার রয়েছে চোখে পড়ার মতো। দেয়ালে লাল বা কালো কালি দিয়ে লিখে প্রচারণা চালানো হচ্ছে নৌকা মার্কার পক্ষে। তবে ধানের শীষের পোস্টার চোখে পড়ে না খুব একটা।

প্রার্থীদের কর্মীরা অনানুষ্ঠানিকভাবেই প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পরই রাজনৈতিক দলগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু করবে বলে জানান স্থানীয়রা।

বংশালের কেমিক্যাল খুচরা বিক্রেতা আশিক আহমেদ জানান, পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা বরাবরই নির্বাচনের বিষয়ে সচেতন। তাই নির্বাচনের বিষয়ে প্রার্থীরাও অন্যান্য এলাকাগুলোর থেকে এদিকটা বেশি নজর দেন। তবে শুক্রবার হওয়ায় এখানকার পাইকারি বাজার বন্ধ রয়েছে। তাই সকাল থেকে প্রার্থীদের আনাগোনা একটু কম রয়েছে। কিন্তু দুপুরের পরেই তা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।

রাস্তাগুলোতে বিএনপি প্রার্থীদের পোস্টার ও ব্যানারের তুলনায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাজী সেলিমের পোস্টার ও ব্যানার রয়েছে কয়েকগুণ বেশি। যে দিকে চোখ যাবে হাজী সেলিমের পোস্টার ব্যানার পড়বে চোখে পড়ার মতো।

এসব বিষয়ে স্থানীয় ভোটরা ভাবছেন যে, যাচাই বাচাই এর পর বিএনপির অনেক প্রার্থীরই প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাওয়ার কারণেই তারা পোস্টার ও ব্যানার খুব একটা করেনি। অনেকটা আড়ালে থেকেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চান বিএনপির প্রার্থীরা।

তবে এক সময় বিএনপির প্রার্থী নাসির উদ্দিন পিন্টুর প্রভাব ছিল এই আসনে। তার মৃত্যুর পর বিএনপির আর তেমন কেউ এই আসনে সুবিধাজনক জায়গা করে নিতে পারেনি বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর