উন্নয়ন চায় নতুন ভোটাররা

বিবিধ, নির্বাচন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-18 20:30:49

যারা আমাদের জেলার উন্নয়ন করবে। আমাদের জন্য ভাববে, জনগণের জন্য ভাববে, কাজ করবে। জেলাকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাবে আমরা তারই পাশে থাকবো। নির্বাচনে যেই বিজয়ী হোকনা কেনো সে যেন জনগণের পাশে থাকে এটাই আমাদের চাওয়া।

শনিবার (১ ডিসেম্বর) ঠাকুরগাঁওয়ে তিনটি আসনে ঘুরে নতুন ভোটারদের সাথে কথা বললে তারা এভাবেই তাদের মনের ভাবনাগুলো প্রকাশ করেন। তাদের দাবি নির্বাচনে যেই বিজয়ী হোক না কেন সে যেন এই ঠাকুরগাঁও জেলার উন্নয়নসহ বেকার তরুণদের পাশে এসে দাঁড়ায়।

উত্তরাঞ্চলের জেলায় এ ঠাকুরগাঁও। এই জেলায় সংসদীয় আসন তিনটি। জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য মতে, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁওয়ের ৩টি আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৯ লাখ ৯৫ হাজার ১শ ৭৬ জন। দশম সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৮ লাখ ৫১ হাজার ৯শ ৬০জন। এবার নতুন ভোটার হয়েছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৯১ জন। নতুন ভোটারদের মধ্যে ৯০ ভাগই হচ্ছে তরুণ-তরুণী।

আর এবারে নতুন ভোটারদের দাবিও একটু ভিন্ন রকমের। শিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান, বিভিন্ন ক্ষেত্রে তরুণদের সুযোগদানে সম্ভাবনার ক্ষেত্র তৈরিসহ সার্বিক উন্নয়নের দিকে বিবেচনা করেই ভোট দেবেন তারা। মোটকথা স্থানীয় জনগণ চায় উন্নয়ন।

শহরের মন্দির পাড়ার এলাকার বৃষ্টি নামের এক নতুন এক ভোটারের সঙ্গে কথা হয়। সে ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। সেইসঙ্গে এলাকাসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নে যে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারবেন, সমাজে নারীদের নিয়ে যিনি বেশি বেশি চিন্তা করে এগিয়ে আসবেন, বেকার যুবকদের কর্মের ব্যবস্থা করে দিবেন তাকেই বেছে নেবো আমরা।

আরেক নতুন ভোটার অনার্স ২য় বর্ষের আরফান আহমেদের মুখেও উন্নয়নের কথা শোনা গেছে। তিনি নিজেও এলাকার উন্নয়ন চান। তিনি বলেন, আমরা চাই উন্নয়ন। তবে এ উন্নয়ন শুধু রাস্তাঘাটের নয়, ভিত্তিপ্রস্তরের নয়, সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা উন্নয়ন চাই। অনেকই মাদক নিয়ন্ত্রণ শুধু মুখে বলে থাকি, যিনি সত্যিকার অর্থে মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে কাজ করবেন তার দিকেই আমরা নতুন ভোটাররা ছুটবো এবারের নির্বাচনে।

নতুন ভোটারদের ভাবনা নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহা.সাদেক কুরাইশী বার্তা২৪ কে জানান, ইতিমধ্যে আমাদের এই ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যাপকহারে উন্নয়ন হয়েছে। যা এখন দৃশ্যমান। ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি আন্ত:নগর ট্রেন চালু হয়েছে। শহরের রাস্তা চার লেনের কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিটি গ্রামের বেশির ভাগ রাস্তাই পাকা করণ সহ স্কুল-কলেজে নতুন ভবন নির্মাণ হয়েছে। এগুলো কার জন্য করা হচ্ছে? নতুন প্রজন্মের জন্যই। জেলার সাধারণ মানুষের জন্য। প্রধানমন্ত্রী মানুষের পাশে আছেন বলেই এতো উন্নয়ন হচ্ছে। নতুন ভোটার যারা আছে তারা দেখছে এই সরকারের আমলে কি পরিমাণ উন্নয়ন হচ্ছে। আমরা আশা করি এবারের নির্বাচনে এই নতুন ভোটাররা আমাদের পাশে থাকবে।

অপরদিকে জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান বার্তা২৪ কে বলেন, ইতিমধ্যে আমার অনেক তরুণদের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছি তারা আমাদের পাশেই আছে। এই সরকার বলেছিলেন বাড়ি বাড়ি চাকরি দেওয়া হবে। কিন্ত তা দেওয়া হয়নি,পুলিশের কন্সটেবলের চাকরিতেও লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৩৫বছর বয়স পর্যন্ত চেয়েছিলো । কিন্তু এটার ব্যাপারেও এই সরকার কোন সারা দেয়নি। আমরা মনে করি সরকারের এইসব কর্মকান্ডে তরুণরা আজ হতাশ। আমাদের প্রতিশ্রুতি আছে আমার বেকার ভাতা, তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, ঠাকুরগাঁওয়ে একটি শিল্পকারখানার ব্যবস্থা করা সহ এমন অনেক কিছুই তাদের জন্য করার প্রতিশ্রুতি আছে আমাদের। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুড়ে দেখছি কথা বলছি। তাদের কথা মতে বুঝা যাচ্ছে তারা আমাদের দিকেই আছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর