মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে মহাজোট-ঐক্যফ্রন্ট লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি

বিবিধ, নির্বাচন

সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 09:05:39

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থেকে: একাদশ সংসদ নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জ-১ (শ্রীনগর-সিরাজদিখান) আসনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী না দেওয়ায় বিকল্পধারার যুগ্ম-মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী জোটগত ভাবে প্রার্থী হচ্ছেন তা প্রায় নিশ্চিত। আর এমনটাই ধরে নিয়েছেন সিরাজদিখান ও শ্রীনগরের ভোটাররা।

তবে ভোটের মাঠে বিএনপির সঙ্গে শক্ত লড়াই হবে মাহীর। কারণ হিসেবে ভোটাররা বলছেন মোয়াজ্জেম আর আব্দুল্লাহর কথা। প্রবীণ ও নবীণ এ দুই বিএনপি নেতা বিএনপি ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী। এর মধ্যে শাহ মোয়াজ্জেম বিএনপি আমলে বহু পথঘাট করে দিয়েছেন মুন্সিগঞ্জে। আর আব্দুল্লাহ এলাকায় গার্মেন্টস কারখানা করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দানশীল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

শনিবার (১ ডিসেম্বর) সিরাজদিখানের ইমামগঞ্জ বাজারে একটি রুটির দোকানের আড্ডা থেকে এসব জানা গেলো।

পঞ্চাশ-ঊর্ধ্ব মোতালেব শেখ বলেন, 'ধানের শীষে শেখ আব্দুল্লাহ আসলে মাহী জিততে পারবেন না।’

মধ্যবয়সী আরেকজন বললেন, ‘মাহীর বাপের জন্য খাটছি। মাহী আসলে সমস্যা নাই। তবে বদরুদ্দোজা সাহেবের যে ক্ষমতা ছিল সে অনুযায়ী কাজ করেননি। শাহ য়াজ্জেম এক সময় রাস্তাঘাট স্কুল কলেজ করেছেন।'

তবে মাহীকে তার বাপের চেয়ে বেশি অগ্রগামী মনে করেন এই ভোটার। তার মতে, মাহী পাশ করলে কাজ করবে। এখন সব আওয়ামী লীগের ভোট পেলে মাহী পাশ করবেই।

তবে মুন্সিগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতারা ভেতরে ভেতরে ক্ষোভের মধ্যে আছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী না পেলে দিয়ে কতটা খাটবেন তারা সে অনিশ্চয়তা আছে। কারণ এ আসনে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের ঐতিহ্যবাহী পরিবার থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এ অবস্থা দলে ঐক্য নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি করেছে। যে কারণে কেন্দ্রের নির্দেশনা কতটা মানা হবে তা ভোটের দিন ঘনিয়ে আসলে পরিষ্কার হবে।

সিরাজদিখান থানার উত্তর রাঙ্গা বালিয়া গ্রামের কৃষক নুর হোসেন বলেন, 'আওয়ামী লীগ করি, তারপরও সমর্থন করি আব্দুল্লাহকে। উনি দলমত নির্বিশেষে দান করেছেন। মসজিদ স্কুলে প্রচুর টাকা দিয়েছেন। তার দল করি না জানার পরও একবার বিরানী খাইয়েছেন।'

জেলা প্রশাসনের তথ্যে, এ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১১ জন প্রার্থী। তারা হলেন বিকল্পধারার মাহী বি চৌধুরী, জাকের পার্টির হাজী আতাউর রহমান, বিএনপির শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, মীর সরাফত আলী সফু, মোঃ আব্দুল্লাহ, ইসলামি আন্দোলনের মোঃ আতিকুর রহমান খাঁন, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সমর দত্ত, জাতীয় পার্টির শেখ সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মোঃ আসাদুজ্জামান শিকদার ও স্বতন্ত্র থেকে মোঃ আমিনুল ইসলাম রতন ও মোঃ সাহাব উদ্দিন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর