আবারও কর কমানোর আবদার ডিএসই’র

পুঁজিবাজার, অর্থনীতি

আসিফ শওকত কল্লোল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 15:11:18

বাজেট শেষ না হতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ( ডিএসই) কর কমানো আবদার। ডিএসই বলছে ,তিন ক্ষেত্রে কর অব্যাহতিসহ আরো অন্যান্য আর্থিক সুবিধা পেলে আগামী অর্থ বছরে ডিএসই থেকে সরকারের রাজস্ব আয় ১ হাজার ১২৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। ঈদ ও সাপ্তাহিক ছুটির পর রোববার প্রথম কর্মদিবসে ডিএসই প্রধান সূচক ২৬ পয়েন্ট বেড়ে প্রায় পাঁচ হাজার ৫৯৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসসিতে লেনদেন হয়েছে ৪২০ কোটি ২৪ লাখ টাকা , যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ২৫ কোটি ৮ লাখ টাকা কম।

ডিএসই‘র তিনটি কর কমানো আবদার হচ্ছে:

ডিএসই’র বর্তমান ক্রমহ্রাসমান হার কর অব্যাহতির পরিবর্তনে তিন বছরের জন্য পূর্ণ কর অব্যাহতি।

স্টক এক্সচেঞ্জের মেম্বারদের কাছ থেকে ট্রেড এর উপর আদায়কৃত করের হার ০.০৫ শতাংশ থেকে ০.০১৫ শতাংশ এ হ্রাসকরণ ।

ডিমিউচ্যুয়ালইজেশন আইন অনুযায়ী এক্সচেঞ্জের বর্তমান শেয়ারহোন্ডারদের ৬০ শতাংশ শেয়ার বিক্রির মূলধনী লাভের উপর কর অব্যাহতি।

গত ২২ আগস্ট ঈদের বন্ধের ঠিক আগে ডিএসই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য তিন ক্ষেত্রে কর কমানো প্রস্তাব সংক্রান্ত একটি ডিও অর্থমন্ত্রী বরাবব পাঠিয়েছেন ।

অর্থমন্ত্রী আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নতুন সচিবকে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে একটি আয়োজনের কথা বলা হয়েছে ।

এমডি‘র ডিওতে আরো বলা হয়েছে, ডিএসই ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে  সরকার এই স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে যথাক্রমে  ৩৭৯ কোটি ও ৩৭৭ কোটি টাকা রাজস্ব হিসেবে সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে। লেনদেন যদি  ২৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায় তবে সরকারের রাজস্ব আদায় দাঁড়াবে প্রায় ১ হাজার ১২৫ কোটি টাকা।

ডিএসই‘র আবেদনে আরো বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নের সমন্বয় রেখে ডিএসই বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ট ট্রেডিং ও হ্যাচিং সিস্টেম বাস্তবায়নসহ প্রভূত উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছে। বাজারের ব্যাপ্তি ও লেনদেন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডিএসই সরকারি ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন , ইটিএফ , ডেরিভেটিভগুলো মত এ্যাডভান্স ইন্টুমেন্ট চালুর জন্য কাজ করছে । এসএমই বা স্বল্প মূলধনী কোম্পানির তালিকাভূক্তি ও লেনদেনের জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্চ কমিশনের তত্ত্ববাধানে ডিএসই একটি পৃথক ট্রেডিং বোর্ড গঠনের কাজ শেষ করেছে । এছাড়া পৃথক ক্লিয়ারিং ও সেটলমেন্ট কোম্পানি এবং ওটিসি মাকেটের আধুনিকায়নের কাজ অব্যাহত রয়েছে । 

আবেদনে আরো বলা হয়েছে, বর্তমানেস ডিএসই’র প্রধান ডাটা সেন্টার এবং দুর্ঘটনার পর উদ্ধার সাইট স্থাপনসহ বাজার সম্প্রসারণ , মোবাইল প্রযুক্তি এবং লেনদেন কার্ষক্রমের আরও অটোমেশনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন আওতায় ডিএসই ২৫% শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে বিশ্বের খ্যাতনামা স্টক এক্সচেঞ্জ সেনজেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে চুক্তি সম্পাদন করেছে ।

উল্লেখ্য ২০১৮-১৯ সালের বাজেট ঘোষণা পর দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্চ সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিল বাজেট ব্যবসাবান্ধব হলেও শেয়ারবাজার বান্ধব নয় ।

তারা বলেছিল তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে কর্পোরেট কর হারের ব্যবধান ১০ শতাংশ করা হয়েছে । কিন্তু তাদের প্রস্তাব ছিল এ ব্যবধান ১৫ শতাংশ করা । তাদের ধারণা তালিকাভূক্ত ও অতালিকাভূক্ত কোম্পানির কর্পোরেট কর হারের ব্যবধান বাড়ানো হলে ভালো কোম্পানি স্টক মাকের্টে আসবে । 

এ সম্পর্কিত আরও খবর