ঢাকা: জাপান টেক্সটাইল খাতে বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তি নিতে চায় বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) বাংলাদেশ সচিবালয়ে সফররত জাপানের হাউজ অফ কাউন্সিলরের সদস্য হিরোসি ইয়ামাদা সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ খবর জানিয়েছেন।
বাণিজ্যমন্ত্রীর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোইয়াসু ইজুমি এবং বাণিজ্যসচিব শুভাশীষ বসু এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাপানের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বেশ চাহিদা রয়েছে। এখন প্রায় ৯০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক জাপানে রপ্তানি হচ্ছে। দিন দিন এ চাহিদা বাড়ছে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশে জাপানের ৩১২টি কোম্পানির বিনিয়োগ প্রায় ১ হাজার ৪৬৭ দশমিক ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখানে প্রায় ৪২ হাজার জনবল কাজ করছে। বর্তমানে তারা সেদেশের টেক্সটাইল খাতের জন্য বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তি নিতে চায়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে। তারা বাংলাদেশকে অস্ত্র ও হ্যান্ডস গ্লোব ছাড়া সকল পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করেছে। দেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবার পরও জাপান চলমান বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখবে।
তিনি বলেন, গত ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে বাংলাদেশ জাপানে রপ্তানি করেছে ১ হাজার ১২ দশমিক ৯৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে আমাদনি করেছে ১ হাজার ৮৩৩ দশমিক ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনের যে কোন স্থানে জাপানি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের আহবান জানানো হয়েছে। জাপানের বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। জাপানের বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী দল কিছুদিনের মধ্যে বাংলাদেশ সফর করবে।
হিরোসি ইয়ামাদা বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবার পরও জাপান বাংলাদেশের পাশে থাকবে এবং সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। বাংলাদেশ জাপানের বন্ধু রাষ্ট্র। জাপানের বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে। বাংলাদেশের সঙ্গে জাপান বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি করবে।