বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প ‘গ্লোবাল লিডার’ বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
তিনি বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাতে এশিয়াসহ সমগ্র বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ।’
বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে আয়োজিত চার দিনব্যাপী ‘২০তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০১৯’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববাজারে এ শিল্পের অবস্থান ধরে রাখতে পণ্য বৈচিত্র্যকরণের পাশাপাশি নতুন বাজার খুঁজে বের করতে হবে। বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পেছনেও এ শিল্পখাতের বড় অবদান রয়েছে।’
আন্তর্জাতিক আয়োজক সংস্থা সেমস গ্লোবাল ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিক এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে একই সঙ্গে ‘১৬তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্র্রিক শো-২০১৯’ এবং ‘৩৮তম ডাইক্যাম বাংলাদেশ এক্সপো ২০১৯’ উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, বিকেএমইএর ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মনসুর আহমেদ এবং সেমস গ্লোবালের প্রেসিডেন্ট মেহেরুন এন. ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে দ্রুত এগিয়ে চলছে। বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে। সরকারের দৃঢ় অবস্থানের ফলে শিল্পখাতসহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হচ্ছে। তিনি ২০২১ সালের মধ্যে শিল্পসমৃদ্ধ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বিনির্মাণে তৈরি পোশাক শিল্পখাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত মালিক, শ্রমিকসহ সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।’
এ শিল্পখাতের যে কোনো সমস্যা সমাধানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের নীতি সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলেও মন্ত্রী জানান।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পখাত এক দিকে যেমন বিকশিত হচ্ছে, অন্য দিকে তেমনি তীব্র বিশ্ব প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হচ্ছে। এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে। দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলোকে বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে হবে। এ লক্ষ্যে সেমস গ্লোবাল আয়োজিত প্রদর্শনী দেশীয় গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি স্থানান্তরে সহায়ক হবে।’
উল্লেখ্য, চার দিনব্যাপী এ ত্রিমাত্রিক প্রদর্শনীতে বিশ্বের ২৫টি দেশ থেকে সাড়ে ১২শ’ প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস শিল্পের আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি, বিভিন্ন ধরনের সুতা, ডেনিম, নিটেড ফেব্রিক্স, ফ্লিস, ইয়ার্ন অ্যান্ড ফাইবার, আর্টিফিশিয়াল লেদার, এমব্রোয়ডারি, বাটন, জিপার, লিনেন ব্লেন্ডসহ অ্যাপারেল পণ্য প্রদর্শন করছে।
এটি বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক শিল্পখাতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে উদ্যোক্তাদের সচেতন করবে। প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত চলবে। প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত। এতে কোনো প্রবেশ মূল্য দিতে হবে না।