শেষ সময়ে বেশি দামেই মসলা কিনছেন ক্রেতারা

ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-09-01 22:14:52

আর মাত্র একদিন পর সারা দেশে উদযাপিত হবে কোরবানির ঈদ। হাতে সময় অল্প হওয়ায় রাজধানীর পশুর হাটের সঙ্গে মসলা বাজারেও বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়।

বাজারে ক্রেতাদের এমন ভিড় দেখে প্রতিবারের ন্যায় এবারও বাড়তি দামেই মসলা বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। এদিকে কোরবানি ঈদে মসলার চাহিদা বেশি থাকায় বাড়তি দামে বাধ্য হয়ে ক্রেতাদের মসলা কিনতে হচ্ছে।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মসলা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

বিভিন্ন প্রকার মসলার খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী,  প্রতিকেজি আস্ত শুকনা মরিচ ১৬০ টাকা, আস্ত হলুদ ১৬০ টাকা, গুঁড়া হলুদ ১৭০ টাকা, আস্ত ধনিয়া ১১০ টাকা, ধনিয়া গুঁড়া ১৪০ টাকা, আস্ত জিরা ৩২০ টাকা, জিরার গুঁড়া ৪৪০ টাকা ও তেজপাতা ১২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এসব মসলার প্রতিটিতে ঈদ উপলক্ষে ২০-৩০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে প্রতিকেজি দারুচিনি ৪২০ টাকা যা আগে ছিল ৩৫০ টাকা, এলাচ ২৮০০ টাকা যা আগে ছিল ২৪০০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার টাকা, সাদা গোলমরিচ ৮০০ টাকা, কালো গোলমরিচ ৬০০ টাকা, জায়ফল ৬০০ টাকা, জয়ত্রী ২৪৫০ টাকা ও আলুবোখারা ৩৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া  কাঠবাদাম ৮৬০ টাকা, কিসমিস ৩৫০ টাকা ও চিনা বাদাম ১১৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবার কোরবানির ঈদের সময় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে মসলার দাম বাড়িয়ে দেন। কোনো ধরণের তদারকি করা হয়নি বলে ব্যবসায়ীরা এভাবে দাম বাড়তে পারচ্ছে বলে ক্রেতারা অভিযোগ করেন।

কাওরান বাজারের কোরবানির ঈদ উপলক্ষে মসলা কিনতে আসা ক্রেতা মো.সুরুজ আলী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, সকল প্রকার মসলার দাম সপ্তাহের ব্যবধানে বাড়িয়ে দিয়েছেন। কেজিপ্রতি মসলার দাম বেড়েছে ৩০-৪০ টাকা আবার কোনো ক্ষেত্রে ৩০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু এই বিষয়গুলো দেখার জন্য কেউ নেই। তাই আমাদের বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে।

তবে বরাবরের মতো মসলা ব্যবসায়ীরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, কোরবানি ঈদের সময় মসলার যোগান অনুযায়ী চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। তাই তাদের বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয় বলে বিক্রিও হয় বেশি দামে।

এ বিষয়ে কারওয়ান বাজারের মসলা বিক্রেতা মো.  স্বপন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, প্রতি কেজি হলুদ, মরিচ ও দারুচিনি আমাদের বেশি দামে কিনে নিয়ে আসতে হয়েছে। এখন বেশি দামে না বিক্রি করলে আমার বাঁচব কিভাবে। আড়তদাররা দাম না কমালে আমরা কিভাবে কমাব।

মসলার খুচরা বিক্রেতা মো.সালাম বলেন, আমরা ছোট ব্যবসায়ী। দাম বাড়ানোর সিন্ডিকেট হয় বড় পর্যায়ে। বড় বড় ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ালে আমাদেরও বাড়াতে হয়। 

এ বিষয়ে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সভাপতি গোলাম রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, 'কোরবানির ঈদকে ঘিরে মসলার বাজারে যে সিন্ডিকেট হয়, তাতেই দাম বাড়ে। সরকারের উচিৎ এসব সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে দামের বিষয়ে নজর রাখা। কিন্তু দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করা হচ্ছে না বলে প্রতি কোরবানির ঈদের আগে মসলার দাম বাড়ানো হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর