নতুন এজেন্ট আসছে না, বিমার আওতাও বাড়ছে না

ব্যাংক বীমা, অর্থনীতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-09-01 16:25:52

বিমা খাতে নতুন করে এজেন্ট আসছে না, ফলে বিমার আওতাও বাড়ছে না বলে মনে করছেন ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্সের চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) বিনিত আগারওয়াল।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর গুলশানের ডেল্টা টাওয়ারে আয়োজিত 'অপারচুনিটিস ইন লাইফ ইনস্যুরেন্স ইন্ডাস্ট্রি' শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিনিত আগরওয়াল বলেন, 'সঠিকভাবে গ্রাহকদের বিমা দাবির টাকা পরিশোধ না করায় দেশের বিমা কোম্পানিগুলো প্রয়োজনীয় এজেন্ট পাচ্ছেন না। ফলে বাড়ছে না বিমা খাতের আওতা। একই সঙ্গে দিন দিন অর্থনীতিতে কমে যাচ্ছে বিমার অবদান।'

তিনি বলেন, 'পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে ব্যাংক অ্যাসুরেন্স থাকলে বাংলাদেশে এখনো তা চালু করা সম্ভব হয়নি। অথচ ব্যাংক অ্যাসুরেন্স চালু হলে বিমা খাতের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়বে। এতে করে ব্যাংক ও বিমা উভয় খাতই উপকৃত হবে। এক্ষেত্রে ব্যাংক পাবে কমিশন এবং বিমা পাবে গ্রাহক।'

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি আগারওয়াল বলেন, 'জীবন বিমার গ্রাহকরা সঠিকভাবে দাবির টাকা না পাওয়ায় এক ধরনের ইমেজ সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে প্রয়োজনীয় এজেন্ট পাওয়া যাচ্ছে না। নতুন এজেন্ট না আসায় নতুন ব্যবসাও আসছে না। ইমেজ সঙ্কট কাটানো গেলে অবশ্যই বিমা খাতের আওতা বাড়বে।'

তিনি বলেন, 'ভারতে বেসরকারি খাতের বিমা কোম্পানির ব্যাংক অ্যাসুরেন্সের পরিমাণ ৬৭ শতাংশ, ফিলিপাইনে ৭৪ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ৭০ শতাংশ এবং ভিয়েতনামে ৬৫ শতাংশ। অথচ বাংলাদেশে এটা এখনো চালু করাই সম্ভব হয়নি।'

তিনি আরও বলেন, 'ব্যাংক অ্যাসুরেন্স চালু হলে বিমা খাতের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়বে। বিশেষ করে ব্যাংকের মাধ্যমে বিমা বিক্রি হলে ব্যাংক ও বিমা উভয়ই লাভবান হয়। আর এ ক্ষেত্রে ব্যাংক পাবে কমিশন আর বিমা পাবে গ্রাহক।'

ওয়ারর্কশপে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। এতে বলা হয়, 'বাংলাদেশে বিমা খাতের প্রতি এখনো গ্রাহকদের আস্থার অভাব রয়েছে। ফলে বিমা খাতের যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও অর্থনীতিতে তা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। ২০০৯-১০ সালে জিডিপিতে বিমা খাতের অবদান ১ শতাংশ থাকলেও বর্তমানে তা দশমিক ৫৫ শতাংশে নেমে এসেছে। গত ১০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হয়েছে। কিন্তু বিমা খাতের প্রবৃদ্ধি কমেছে।'

এ সময় ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্সের কোম্পানিটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ও কোম্পানি সচিব উত্তম কুমার সাধু, নির্বাহী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন এবং জয়েন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে এম সামিনুল ইসলাম কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর