দেশে বাণিজ্যের প্রসারের লক্ষে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ব্যবসায়ীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, ‘দেশের বাণিজ্য উন্নয়নে মেধার বিকল্প নেই। বাণিজ্যের উন্নয়ন মানেই দেশের উন্নয়ন। মেধা সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে বাণিজ্যের উন্নয়ন ঘটাতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ঢাকায় প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অফ বাংলাদেশের বার্ষিক সাধারণ সভা-২০১৯ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাণিজ্যে টিকে থাকতে হলে মেধাকে কাজে লাগাতে হবে। পণ্যে বৈচিত্য আনতে মেধাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে।’
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অফ বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের রিসার্স ডিরেক্টর ড. এম এ রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম, ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের রেসিডেন্ট প্রোগ্রাম ডিরেক্টর জিওফ্রে ম্যাকডোনাল্ড, ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের চিফ অফ মিশন জিওরজি গিগাউরি।
দেশে ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহজ করতে বাংলাদেশ সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ অফিসগুলো ডিজিটাল করা হয়েছে। এখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে জিএসপি সুবিধা পেতে ব্যবসায়ীরা নিজেরাই নিজেদের সার্টিফিকেট ইস্যু করতে পারবেন। ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন অনলাইনে করা হচ্ছে, জয়েন্ট স্টক কোম্পানির কাজ এখন অনলাইনেই করা হচ্ছে। বাংলাদেশে এখন অতি সহজেই ব্যবসা করা যায়। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার পরামর্শ অনুসারে বাংলাদেশ বাণিজ্য সহজীকরণে অনেক এগিয়ে গেছে।’
বর্তমান সরকার ব্যবসাবান্ধব সরকার। ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের জন্য সরকার সব কিছুই করবে। গত বছর বাংলাদেশ ৪০ দশমিক ৫৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি করেছে। এটা ছিল লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি। রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৫৫ ভাগ। আগামী ২০২১ সালে দেশের মোট রফতানির পরিমাণ দাঁড়াবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশে এখন কোনো খাদ্য সংকট নেই। সরকার এরই মধ্যে দুই লাখ মেট্রিক টন চাল রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।