গুঁড়া দুধের আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির দাবিতে সড়কে দুধ ঢালল খামারিরা

ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | 2023-08-29 21:20:30

নিম্নমানের ভর্তুকি প্রাপ্ত গুঁড়া দুধের উপর এন্টি ডাম্পিং ট্যাক্স আরোপ ও আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে ৫০ শতাংশে উন্নীত করার দাবি পুনরায় জানিয়েছে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশন। প্রস্তাবিত বাজেটে কনসেশনারি কাস্টমস ডিউটি ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে মাত্র ১০ শতাংশ করার প্রতিবাদে সড়কে গরুর দুধ ঢেলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খামারিরা।

শনিবার (জুন ২২, ২০১৯) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে দুধ ঢেলে এই প্রতিবাদ জানানো হয়। এর আগে জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর দাবি জানায় সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজটে নিম্নমানের ভর্তুকি প্রাপ্ত গুঁড়া দুধের উপর এন্টি ডাম্পিং ট্যাক্স আরোপ ও আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে ৫০ শতাংশে উন্নীত করার দাবি জানিয়েছিলো বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশন। অথচ প্রস্তাবিত বাজেটে কনসেশনারি কাস্টমস ডিউটি ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে মাত্র ১০ শতাংশ করা হয়েছে। যা আসলে দুগ্ধ খামারিদের কোন কাজেই আসবেনা।

কারণ, এইচএস কোডে কাস্টমস ডিউটি ১০ শতাংশ থাকলেও আমদানিকারকরা গোপনে এসআরও করে এনবিআর থেকে ৫ শতাংশ কনসেশন নিয়ে শুল্ক কমিয়ে এনেছিলো যা খামারিরা জানতে পারেনি। এসব কারণে দেশে দুগ্ধ শিল্পের কোন লাভই হয়নি বিগত অর্থবছরে।

একইসঙ্গে বিগত ১৫ বছরে মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে খামারিদের তরল দুধের ন্যায্য দাম সরকার থেকে নিশ্চিত করা এবং সঠিক বাজারজাত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করাসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন  বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি রাকিবুর রহমান টুটুল। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক শাহ এমরান।

এ সময় বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ এবং প্রাণি সম্পদ উন্নয়ন অধিদফতরের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

প্রস্তাবিত বাজেটকে ভিত্তি করে এবং আসন্ন বাজেটকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশন আরও দাবি করে, দুগ্ধ প্রসেসিং কোম্পানিদের সঙ্গে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত দামে তরল দুধের দাম সমন্বয় সাধন, এলাকাভিত্তিক খামারিদের দুধ সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা তৈরি করা, ভোক্তাদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সরকার থেকে দায়িত্ব নিয়ে সচেতনতামূলক টিভিসি প্রোগ্রাম করা, গো-খাদ্য আমদানিতে সকল শুল্ক প্রত্যাহার করা, আধুনিক খামারভিত্তিক সকল বৈদেশিক যন্ত্রপাতি আমদানিতে সকল শুল্ক প্রত্যাহার করা, বাণিজ্যিক নয় বরং কৃষির আওতায় দুগ্ধ খামারের বিদ্যুৎ ও পানির বিল আনা, পোল্ট্রি ও মৎস শিল্পের মত দুগ্ধ খামারিদের আগামী ২০ বছরের জন্য আয়কর মুক্ত বা ট্যাক্স হলিডে দেয়া এবং স্বল্প সুদে খামারিদের ঋণ বিতরণ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর