প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, সেটা সব সময় সব সরকারই করেছে। কেননা কালো টাকা আগে স্ট্রিম লাইনে আনতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যারা কালো টাকা করে ফেলেছেন, তাদের টাকাটা তো আগে স্ট্রিম লাইনে আনতে হবে। কোথায় গুঁজে রেখে দিয়েছে তার ঠিক নেই। আবার ইঁদুরে খেয়ে না ফেলে। সেটাকে আনার একটা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
শুক্রবার (১৪ জুন) বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কালো টাকা মানে এখানে আপনারা জানেন যে, মাঝে মাঝে যেটা হয়, কিছু অপ্রদর্শিত টাকা থেকে যায়। কোনো কারণে টাকা হাতে থেকে যায়, সে টাকাটা কোনো কাজে লাগাতে পারে না। তখন সে টাকাটা নানাভাবে পাচার করতে চায় বা অন্যভাবে ব্যবহার করতে চায়। সেটা যাতে আর না হয়, সেটা বন্ধ করার জন্য এটাকে একটা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। যেটা আমরা এর পূর্বেও দিয়েছি, সব সরকারই দিয়েছে।’
অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ করলে অতিরিক্ত সুদ দিতে হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংকে ঋণখেলাপি যেন না হয় বা এ ধরনের কালো টাকার স্তুপ যেন না জমে, তার জন্যে এ সুযোগ দিয়েছি। যাতে অন্ততপক্ষে তাদের টাকাটা যে আছে, এটা যেন প্রদর্শিত হয়, এটা যেন বিনিয়োগে খাটাতে পারে, তাদের কোনো কাজে আসতে পারে।’
‘আপনারা লক্ষ্য করবেন যে, আমরা যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করছি, সেখানে, আমাদের যে আইটি পার্কগুলো আছে সেখানে কেউ যদি বিনিয়োগ করে, তাকে কিন্তু সুনির্দিষ্ট হারে সুদ দিতে হবে। অতিরিক্ত অর্থ দিয়েই সে বিনিয়োগ করতে পারবে। যদি এই অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে বিনিয়োগ করে, তখন আর তাকে প্রশ্ন করা হবে না।’
দেশ থেকে অর্থপাচার যাতে না হয় তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের আলাদা কমিটি কাজ করছে বলেও জানান সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘যেখানেই এ ধরনের অর্থ পাচার হচ্ছে সেটা ধরা পড়ছে। আর ভবিষ্যতে এটা যাতে না করে, তার ব্যবস্থাও নেব।’
সংবাদ সম্মেলনে মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।