সোনায় ছাড়, কমতে পারে দাম

বাজেট, অর্থনীতি

মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-31 22:07:10

আসছে বাজেটে সোনা আমদানিতে বিশেষ প্রণোদনা অর্থাৎ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেটে ১০০ গ্রাম সোনার অলঙ্কার অথবা বার আমদানিতে কোনো কর রাখা হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, ৩৩৪ গ্রাম সোনার অলঙ্কার অথবা বার আমদানিতে কর রাখা হচ্ছে এক হাজার টাকা। ১৩ জুন জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় এ তথ্য তুলে ধরতে পারেন।

২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বিদেশ থেকে ২৩২ গ্রামের বার অথবা সোনার অলঙ্কার আমদানিতে কর ধরা হয়েছিল তিনি হাজার টাকা। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের চেয়ে ১০২ গ্রাম বেশি সোনা আমদানি করলেও দুই হাজার টাকা কম কর দেওয়ার সুযোগ থাকছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমদানিতে কর কমানোর ফলে সোনার দাম কমবে। পাশাপাশি বিদেশে সোনার চোরাচালান রোধ হবে। বর্তমানে প্রচুর সোনা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে চলে যাচ্ছে। আর তাতে দেশের সোনা ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিলিপ কুমার আজগর বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাজেটে সোনা আমাদানিতে কর কমিয়েছে দুই হাজার টাকা। তাতে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ী উভয় পক্ষই লাভবান হবে।

এদিকে দেশের সব সোনা ব্যবসায়ীকে অবৈধ সোনা বৈধ করতে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছে এনবিআর। তারা ভরি প্রতি এক হাজার টাকা কর দিয়ে অবৈধ স্বর্ণ এবং স্বর্ণালঙ্কার বৈধ করতে পারবেন। স্বর্ণের পাশাপাশি কাট ও পলিশড ডায়মন্ড প্রতি ভরি ছয় হাজার টাকা করে কর দিয়ে অবৈধ স্বর্ণ বৈধ করার সুযোগ দিয়েছে এনবিআর। গত ২৮ মে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

আর তাতে বলা হয়েছে, কোনো স্বর্ণ ব্যবসায়ী বা স্বর্ণালঙ্কার প্রস্তুতকারী কর্তৃক অঘোষিত অমজুদকৃত এবং ওই নীতিমালার আওতায় ঘোষিত স্বর্ণ ও স্বর্ণালঙ্কার, কাট ও পলিশড ডায়মন্ড এবং রূপার ওপর প্রদেয় আয়কর কমিয়ে প্রতি ভরি স্বর্ণ ও স্বর্ণালঙ্কারের জন্য এক হাজার টাকা, প্রতি ক্যারেট কাট ও পলিশড ডায়মন্ডের জন্য ছয় হাজার টাকা এবং প্রতি ভরি রূপার জন্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ডিলার, স্বর্ণ ব্যবসায়ী বা স্বর্ণালঙ্কার প্রস্তুতকারীকে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে অঘোষিত এবং মজুদকৃত স্বর্ণ ও স্বর্ণালঙ্কার, কাট ও পলিশড ডায়মন্ড এবং রূপা সম্পর্কে ঘোষণা দিয়ে কর পরিশোধ করতে হবে। আর এসবের বিস্তারিত তথ্য ও কর পরিশোধের চালান আয়কর রিটার্নের সঙ্গে জমা দিতে হবে। এ প্রজ্ঞাপনের মেয়াদ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে।

এ প্রজ্ঞাপনের আওতায় ঘোষিত স্বর্ণ ও স্বর্ণালঙ্কার, কাট ও পলিশড ডায়মন্ড এবং রূপার পরিমাণ সংশ্লিষ্ট ডিলার, স্বর্ণ ব্যবসায়ী বা স্বর্ণালঙ্কার প্রস্তুতকারীর ব্যবসার হিসাব বইতে পৃথকভাবে মজুদ (Inventory) লিপিবদ্ধ করতে হবে। ওই মজুদ (Inventory) থেকে বিক্রির পরিমাণ (ভরি/ক্যারেট) ও মূল্য সংক্রান্ত তথ্য আয়কর রিটার্নের সঙ্গে জমা দিতে হবে। আর এগুলো জমা দিলে ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে তারা বৈধ উপায়ে বিদেশ থেকে স্বর্ণ আমদানি করতে পারবেন।

এ প্রজ্ঞাপনের আওতায় কর পরিশোধিত স্বর্ণ ও স্বর্ণালঙ্কার, কাট ও পলিশড ডায়মন্ড এবং রূপার অর্জনমূল্য এবং অর্জনকালের ওপর আয়কর কর্তৃপক্ষ কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবে না।

এ সম্পর্কিত আরও খবর