জমজমাট জুতার ঈদ বাজার, পছন্দের শীর্ষে স্লিপার

ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি

শিহাবুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-09-01 16:42:18

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানীর জুতার বাজারে চলছে জমজমাট বিকিকিনি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ব্যস্ততা। কেউ কিনছেন কেডস, কেউবা স্লিপার বা চটি জুতা। অপর দিকে সাশ্রয়ী মূল্য ও আশানুরূপ বিক্রি হওয়ায় খুশি ক্রেতা-বিক্রেতারা। তবে এবারের ঈদ বাজারে স্লিপার জুতার চাহিদা বেশি বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা।

বুধাবার (২৯ মে) এলিফ্যান্ট রোডের জুতার দোকানগুলোতে ঘুরে ও কথা বলে জানা গেছে, আগের চেয়ে বিক্রি বেড়েছে ৩ থেকে ৪ গুণ। দোকান ভেদে ৮০ হাজার থেকে শুরু করে ৮-৯ লাখ টাকা প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি দোকান সকাল ৯টা থেকে শুরু করে প্রায় রাত ২টা পর্যন্ত খোলা থাকছে।

জুতার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে স্লিপার বা চটি জুতা। যা পাঞ্জাবি-পায়জামার সঙ্গে পড়বেন বলে কেনা হচ্ছে। চটি জুতাগুলো সাধারণ ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৭-৮ শত টাকা বিক্রি হচ্ছে। কেডস বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে। তবে ব্র্যান্ডের জুতাগুলো আরও বেশি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে, যা অন্য সময়ের মতোই।

এক্সকিউজ মি ভাই,  ভালো কালেকশন আছে, দেখে যান। আসেন, ভেতরে আসেন; এভাবেই ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছিলেন বিক্রেতা মো. মনিরুল ইসলাম রনি। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, অনেক ভাল বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন আগে যেখানে ১৫-২০ হাজার টাকা বিক্রি হতো এখন তা বেড়ে ৯০ থেকে ১ লাখ টাকা। ১৫ রমজানের পর থেকে  এমন বিক্রি হচ্ছে। আগামী শুক্রবার (৩১ মে) থেকে আরও বেশি বিক্রি হতে পারে; তখন দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হবে বলে আশা করছি।

তিনি বলেন, এখন সবচেয়ে বেশি চাহিদা বিদেশি জুতা স্যান্ডেলের প্রতি। চায়নিজ জুতা বেশি বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে চাহিদা বেশি কেডস আর স্লিপার। স্লিপার পাঞ্জাবি পায়জামার সঙ্গে পড়ার জন্য নিচ্ছেন সবাই।

দেশের অন্যতম জনপ্রিয় কোম্পানি, বাটা। এলিফ্যান্ট রোডের বাটা শো-রুমের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই প্রচুর বিক্রি হচ্ছে। আগে গড়ে প্রতিদিন বিক্রি হতো ৩ লাখ টাকা। আর এখন ৮-৯ লাখ টাকা আমাদের ব্রাঞ্চেই বিক্রি হচ্ছে। সামনে আরও বাড়বে। গতবছর সর্বোচ্চ ২৬-২৭ লাখ টাকা বিক্রি হয়েছে আমাদের। এবার আশা করি ৩০-৩৫ লাখ টাকা বিক্রি হবে। কারণ ঈদ যতো এগিয়ে আসে বিক্রি বাড়ে। এবার আমাদের অনেকগুলো নতুন ডিজাইনের জুতা এসেছে, এতে দারুণ সাড়া পাচ্ছি।

তিনি বলেন, সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বিক্রি। গতকাল আমরা সকাল ৯টায় দোকান খুলে বন্ধ করেছি পৌনে ২টার সময়। শুধু আমাদের দোকানই নয়, এলিফ্যান্ট রোডের সকল দোকান অনেক রাত পর্যন্ত খোলা রাখতে হচ্ছে। কারণ কাস্টমার আসে, তাদের তো আর বলতে পারি না যে দোকান বন্ধ করবো আপনারা চলে যান।

এলিফ্যান্ট রোডের দোকানগুলোতে মেয়েদের পেন্সিল হিল, স্লিপার, হাই হিল, পুরুষদের ক্যাজুয়াল ও ফরমাল সু, কেডস, লোফার, চটি জুতা, শিশুদের জন্য, স্যান্ডেল, কেডসসহ সকল ধরনের জুতা পাওয়া যায়।

মো. রাকিবুল ইসলাম। এসেছেন মোহাম্মাদপুর এলাকা থেকে নিজের ও তার প্রিয়জনের জুতা কিনতে। বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রতিবার ঈদ আসলেই আমি এখান থেকে জুতা কিনি। এবার একটি চটি জুতা নিয়েছি। দাম নিয়েছে ৩৫০ টাকা। এখানে কম দামে জুতা পাওয়া যায় কিন্তু সেটা দামাদামি করে নিতে হবে। না হলে ঠকার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ দোকানদাররা অনেক বেশি দাম চায়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর