আইপিওতে নতুন কোম্পানিকে তুলতে হবে সর্বনিম্ন ৫০ কোটি টাকা

পুঁজিবাজার, অর্থনীতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-22 06:04:55

বহুল আলোচিত প্লেসমেন্টে শেয়ার ইস্যু আইন বাতিল করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একই সঙ্গে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিওর) দুটি পদ্ধতিতে সর্বনিম্ন ৫০ কোটি  ও ১০০ কোটি টাকা পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলন করতে হবে। ২৯ এপ্রিল সোমবার কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে আইপিও’র আগে প্লেসমেন্টে শেয়ার ইস্যু (ক্যাপিটাল রেইজিং) করলে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে পারবে না।

এছাড়া আইপিও আসা কোম্পানির সকল শেয়ারের তিন বছর লক-ইন (বিক্রয় অযোগ্য) রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা অতি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) পুঁজিবাজারের চলমান অবস্থা নিয়ে গণভবনে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, অর্থমন্ত্রণালয় ও বিএসইসির কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। এর পরদিন সোমবার এই সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন(ডিবিএ) এবং বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ বিষয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক খায়রুল হোসেন বলেন, প্লেসমেন্ট আইন বাতিল করা হবে। আগামীতে বিএসইসির অনুমোদন নিয়ে প্লেসমেন্টে কোনো শেয়ার ইস্যু করার সুযোগ থাকবে না।

একইসঙ্গে আইপিওকালীন সকল শেয়ারে তিন বছর লক-ইন থাকবে। যা প্রসপেক্টাসের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ প্রকাশের দিনের পরিবর্তে লেনদেন শুরুর দিন থেকে গণনা করা হবে। এছাড়া আইপিওতে ফিক্সড প্রাইস মেথডে কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকা ও বুক বিল্ডিং মেথডে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা নিয়ে যে সমস্যা আছে, তা গণভবনে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি সমাধান করবেন বলে গভর্নর জানিয়েছেন। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে আইপিওতে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কোটা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

এক্ষেত্রে ফিক্সড প্রাইস মেথডে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কোটা ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশ এবং বুক বিল্ডিং মেথডে ৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫০ শতাংশ করা হবে। এছাড়া পুঁজিবাজারে সক্রিয় নয় এমন ডিলার, প্রভিডেন্ট ফান্ড, মার্চেন্ট ব্যাংকস ইত্যাদিকে যোগ্য বিনিয়োগকারীর তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।

এদিকে বাজেটে লভ্যাংশের ক্ষেত্রে দ্বৈত কর প্রত্যাহার, স্ট্যাম্প ডিউটি কমানোসহ কিছু প্রণোদনা থাকবে বলে জানান বিএসইসি চেয়ারম্যান। উদ্যোক্তা/পরিচালকদের এককভাবে দুই শতাংশ ও সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ নিয়ে কিছু করা যায় কি না-তা নিয়ে কমিশন চিন্তা ভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন খায়রুল হোসেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর