বিনিয়োগকারীদের গণঅনশনে যোগ দেবেন মেনন

পুঁজিবাজার, অর্থনীতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 16:00:00

বিনিয়োগকারীদের চলমান গণঅনশনে সংহতি প্রকাশ করবেন সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে ও চলমান দরপতনের প্রতিবাদে অনশন কর্মসূচিতে তিনি যোগ দিয়ে সংহতি প্রকাশ করবেন বলে দাবি করছেন বিনিয়োগকারীরা। তিনি দুপুর আড়াইটার দিকে অনশনে যোগ দেবেন বলেও জানান তারা।

পূর্বে ঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে সোমবার সকাল বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনে গণঅনশন শুরু হয়।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জের (কমিশন) অধ্যাপক খায়রুল হোসেনের পদত্যাগসহ ১২ দফা দাবিতে গণঅনশন শুরু করেছে বিনিয়োগকারীরা। অনশনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সংগঠনের সভাপতি মিজানুর-উর-রশিদ চৌধুরী।

মিজানুর উর রশিদ চৌধুরী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘চলমান দরপতন ২০১০ সালের চেয়ে ভয়াবহ ধসে পরিণত হয়েছে। এই ধস ঠেকাতে আমরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের পর এখন অনশন করছি। বাজার বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে সাফল্যজনক জায়গা করে নিয়েছে, সেখানে দেশের পুঁজিবাজারের করুণ অবস্থা। এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে বাজারের প্রতি দৃষ্টি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন করছি।’

সংগঠনের দাবিগুলো হচ্ছে- আইপিও এবং প্লেসমেন্ট শেয়ারের অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করা, জেড ক্যাটাগরি এবং ওটিসি মার্কেট বন্ধ, ইস্যু মূল্যের নিচে অবস্থানরত কোম্পানিগুলোকে ইস্যু মূল্যে বাইব্যাক করা ও তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে ন্যূনতম ১০ শতাংশ লভ্যাংশ বাধ্যতামূলক করা।

এছাড়াও ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মার্জিন লোন সম্পূর্ণ মওকুফ এবং খন্দকার ইব্রাহীম খালেদের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা ইত্যাদি।

চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি থেকে দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই ও সিএসই) শুরু হয়েছে দরপতন। তিনমাস ধরে চলা দরপতনে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৭০০ পয়েন্ট আর সিএসইর সূচক কমেছে ২ হাজারের বেশি পয়েন্ট। এই সময়ে সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

আর তাতে সাড়ে ২৮ লাখ বিনিয়োগকারীদের পুঁজি অর্থাৎ মূলধন কমেছে ৬৪ হাজার ৪৪৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ডিএসইর বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয়েছে ৩২ হাজার ৪৮৮ কোটি ৫৫ লাখ ১২ হাজার টাকা।

আর সিএসইর বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয়েছে ৩১ হাজার ৯৫৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। যা ২০১০ সালের ধসের চেয়েও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ২০১০ সালের ধসে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয়েছিল ৩০ হাজার কোটি টাকার মতো।

রোববার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি অত্যন্ত চাঙা ও শক্তিশালী হলো পুঁজিবাজার। কিন্তু বর্তমান পুঁজিবাজারে নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে পুঁজিবাজার শক্তিশালী করার জন্য যা যা করার তাই করা হবে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর