চট্টগ্রামের ৯ পরিচালকের ভোটে নজর দু’পক্ষের

পোশাক শিল্প, অর্থনীতি

ঊর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 13:27:14

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্ততকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) আসন্ন নির্বাচনে চট্টগ্রামের ৯ নির্বাচিত পরিচালকের ভোটে নজর ফোরাম-পরিষদ জোট ও স্বাধীনতা পরিষদের। উভয় পক্ষই চট্টগ্রামের নির্বাচিত পরিচালকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন।

জানা গেছে, সাধারণ ভোটারদের ভোটে ৩৫ জন পরিচালক নির্বাচিত হন। এর মধ্যে ৯টি চট্টগ্রাম ও ২৬টি ঢাকা অঞ্চলের। নির্বাচিত পরিচালকরাই পরবর্তীতে একজন সভাপতি ও সাতজন সহ-সভাপতি নির্বাচিত করেন। যদিও সভাপতি পদে বিজয়ী হতে মোট ১৮ পরিচালকের ভোট প্রয়োজন। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৯ পরিচালক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আর ঢাকার পরিচালকদের নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ী হতে হবে। তাই উভয় পক্ষই সভাপতি পদের জন্য চট্টগ্রামের পরিচালকের ভোটকে নিজস্ব ভোট ব্যাংক হিসেবে বিবেচনা করছেন।

বিজিএমইএ’র চট্টগ্রাম অফিস সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতা পরিষদের প্রতিনিধিরা মোবাইলের মাধ্যমে নির্বাচিত পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করছেন। এমনকি স্বাধীনতা পরিষদ থেকে এই ৯ পরিচালককে সমর্থন দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তাই স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি প্রার্থীকে যাতে তারাও চূড়ান্তভাবে সমর্থন দেন সে বিষয়টি নিশ্চিত করতেই সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে।

স্বাধীনতা পরিষদের আহ্বায়ক ও বিজিএমইএ’র সভাপতি প্রার্থী এবং ডিজাইন অ্যন্ড সোর্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. জাহাঙ্গীর আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা জয়ের বিষয়ে বরাবরই আশাবাদী। আমরা চেষ্টা করেছিলাম নির্বাচন হোক। সেই জন্য আমাদের নানা বাধা দেওয়া হয়েছে। তারপরও আমরা থেমে যাইনি। চট্টগ্রামের নির্বাচিত পরিচালকদের কাছ থেকে সমর্থন পাবো বলে আশা করছি।’

তবে ফোরাম-পরিষদ জোটের প্যানেল লিডার রুবানা হক বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘স্বাধীনতা পরিষদ থেকে তো পুরো প্যানেলই দিতে পারেনি। তারা চট্টগ্রামে কোনো প্রার্থীই দিতে পারে নি। ফলে তারা কী করে সেখান থেকে সমর্থন আশা করছেন তা আমার বোধগম্য নয়। এসব গুজব ছাড়া কিছুই না। চট্টগ্রামের নির্বাচিত ৯ জনই আমাদের প্যানেলের সদস্য। সুতরাং তারা আমাদের সমর্থন দেবেন এটাই স্বাভাবিক। এ বিষয়ে কোনো প্রশ্নই উঠতে পারে না।’

নাম না প্রকাশ করার শর্তে চট্টগ্রাম অঞ্চলের নির্বাচিত এক পরিচালক বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘পাঁচ বছর আগেও চট্টগ্রামে প্রায় এক হাজার গার্মেন্টস ছিল। কিন্তু এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে তিনশর মতো। তাই এখানকার মালিকরা পুরাতন কমিটির ওপর কিছুটা ক্ষিপ্ত। যেহেতু প্যানেল থেকে রুবানা হককে সভাপতি পদের জন্য সমর্থন দেওয়া হচ্ছে, তাই আমরাও তাকে সমর্থন দেবো। কিন্তু ভোটের দিন কে কাকে ভোট দেবে সেটা জানা সম্ভব নয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘স্বাধীনতা পরিষদের লোকজন আমাদের সাথে কখনও ফোনে, কখনও সরাসরি এসে যোগাযোগ করছেন। বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এখন ১৪ এপ্রিল সভাপতি নির্বাচনের সময় আমাদের কেউ যদি স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি প্রার্থীকে সমর্থন দেন তাহলে কিছু করার থাকবে না।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর