সভাপতি পদ নিয়েই যত চিন্তা!

পোশাক শিল্প, অর্থনীতি

ঊর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-23 23:12:30

দেশের রফতানি আয়ের মূল উৎস পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ (বাংলাদেশ পোশাক প্রস্ততকারক ও রফতানিকারক সমিতি) এর নির্বাচন নিয়ে গরম হাওয়া বইছে পুরো ব্যবসা খাতেই। প্রার্থীরা পাঁচ তারকা হোটেলগুলোতে করছেন নানা বৈঠক। ভোটারদের কাছে ভোট চাইছেন। তবে সকল চিন্তা ভাবনার কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে সভাপতি পদটি নিয়ে।

কে হবেন বিজিএমইএ’র পরবর্তী সভাপতি তাই নিয়ে আলোচনা চলছে পুরো ব্যবসা খাত জুড়ে। চলছে নানা হিসাব নিকাশ। সরাসরি ভোটারদের ভোটে নির্বাচিত হন না বিজিএমইএ’র সভাপতি। ভোটাররা ভোটদানের মাধ্যমে নির্বাচিত করেন ৩৫ জন পরিচালককে। আর নির্বাচিত পরিচালকরা ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করেন সভাপতি ও সাতজন সহ-সভাপতি।

গত মাস দু’য়েক আগেও সভাপতি পদের জন্য বিজিএমইএ’র বর্তমান সভাপতি মো: সিদ্দিকুর রহমান, ফোরামের রুবানা হক ও স্বাধীনতা পরিষদ এর আহ্বায়ক মো: জাহাঙ্গীর আলমের নাম শোনা গেছে জোরেশোরে। কিন্তু অবশেষে ফের সমঝোতা হয় পরিষদ ও ফোরামের মধ্যে। পরিষদ-ফোরাম জোট থেকে প্যানেল লিডার করা হয় রুবানা হককে। বিজিএমইএ’র বর্তমান সভাপতি মো: সিদ্দিকুর রহমানও সমর্থন দেন রুবানা হককে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এর সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনও সমর্থন দিয়েছেন রুবানা হককে বলেও জানা যায়।

নানা বাধা বিপত্তির পরও জয় নিয়ে আশাবাদী স্বাধীনতা পরিষদ এর আহ্বায়ক মো: জাহাঙ্গীর আলম। বার্তা২৪.কমের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা পরিষদ যদি নির্বাচনে না যেতো তাহলে এবারো সাধারণ ভোটাররা ভোটদানের সুযোগ পেতেন না। পাঁচ বছর পরও নির্বাচনী আমেজ তৈরি হতো না বিজিএমইএ’তে। নির্বাচন না হলে ভোটারদের কদর থাকে না। সমঝোতা হলে প্রার্থীদেরতো ভোটারদের কাছে যাওয়ার প্রয়োজনই হতো না। তাই ভোটারদের দাবি দাওয়াও নজরের বাইরে থেকে যেতো। আশা করছি ভোটাররা স্বাধীনতা পরিষদকে জয়যুক্ত করবেন।’

বিজিএমইএ সূত্রে জানা যায়, সমঝোতার জন্য ফোরামের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা পরিষদকে প্রস্তাব দিলেও নানা হিসাব নিকাশ করে নির্বাচনের পথেই হাঁটে স্বাধীনতা পরিষদ। স্বাধীনতা পরিষদ যদি এই সমঝোতায় সায় দিত তাহলে আবারো নির্বাচন এড়িয়ে হতো সমঝোতা কমিটি।

অন্যদিকে, স্বাধীনতা পরিষদের প্রার্থীরা এবারই প্রথম নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় তাদের ওপর ভোটারদের কতোটা আস্থা আছে তাই নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন তুলেছেন পরিষদ-ফোরাম জোটের প্রার্থীরা। কিন্তু বসে নেই স্বাধীনতা পরিষদের প্রার্থীরা। ভোটার তালিকা অনুযায়ী প্রায় সব ভোটার ধরে ধরে যোগাযোগ করছেন তারা।

মোহাম্মাদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক প্রার্থীদের সাথে যোগাযোগ করে পোশাক শিল্পকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে পরিকল্পনার কথা বলছেন অন্যদিকে ডিজাইন এন্ড সোর্স লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: জাহাঙ্গীর আলম বলছেন, পোশাক শিল্পের উন্নয়নের পাশাপাশি বিপদে পরা মালিকদের পাশে দাঁড়ানোর কথা।

তবে ভোটাররা বলছেন, গত পাঁচ বছরে অসংখ্য কারখানা মরে গিয়েছে। রাস্তায় বসতে হয়েছে অনেক মালিককে। আর তাই যারা তাদের দু:খ দুর্দশার দিকে নজর দিবেন তাদেরই ভোট দিবেন সাধারণ ভোটাররা।

শেষ পর্যন্ত জয়ের মালা কার গলায় পড়বে তা দেখা যাবে ৬ এপ্রিল। ভোট দিবেন ১ হাজার ৯৯৫ জন ভোটার।

এ সম্পর্কিত আরও খবর