সরবরাহ বাড়ায় কমেছে পেঁয়াজের দাম

, অর্থনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম | 2024-03-29 11:44:25

রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে যখন ঊর্ধ্বগতি তখন স্বস্তির বার্তা হয়ে এসেছে পেঁয়াজের দাম। গেলো কয়েক সপ্তাহে যেখানে পেঁয়াজের ঝাঁজে ক্রেতাদের নাজেহাল অবস্থা। সেই পেঁয়াজ এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে সুলভ মূল্যে। মূলত দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় এবং ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণার পর থেকে নেমে এসেছে পেঁয়াজের দাম।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর হাতিরপুল বাজার ঘুরে দেখা গেছে গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৯০-১০০ টাকা তা মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে নেমে এসেছে অর্ধেকেরও কম দামে। বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রকারভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা যা পাইকারি বাজারে ৩০-৩৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন গত কয়েক সপ্তাহে সবকিছুর দামে যে আগুন লেগেছিল তা মনে হয় কিছুটা কমতে শুরু করেছে। যদিও অসাধু ব্যবসায়ীরা যা ব্যবসা করার তা করে ফেলেছে। সবার বাসায় এখন পর্যাপ্ত পেঁয়াজ, আলু ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। তাই ক্রেতাদের আনাগোনা বাজারে কমে যাওয়ায় কমেছে জিনিসপত্রের দাম।

শুক্রবার বাজারে প্রতি কেজি শশা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০। ক্যাপসিকাম ২৫০-৩০০ টাকা। বেগুন প্রতি কেজি ৫০-৬০, লেবুর হালি প্রকারভেদে ২০-৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, লাউ ৮০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০, করলা ৬০-৭০, টমেটো ৫০-৬০ কেজি, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি পিছ ৪০টাকা, বাঁধাকপি ৪০, ফুলকপি ৫০ এবং কাঁচকলা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা দরে।

পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আগের দামেই পাওয়া যাচ্ছে সকল মাছ

এছাড়া আলু ৪০ টাকা প্রতি কেজি, আদা ২২০, রসুন ২০০, কাঁচামরিচ ৪০ টাকা, পেয়াজ ৪০-৪৫ টাকা , ধনেপাতা ৬০ টাকা কেজি।

হাতিরপুল বাজারের বিক্রেতা নিরব জানান, গত সপ্তাহের চাইতে এই সপ্তাহে সবজির দাম কিছুটা কম। মূলত আমদানি বাড়ার কারণে দাম কমেছে পেঁয়াজ সহ সকল শাক সবজির দাম। আগে ৮০ টাকার নিচে সবজির গায়ে হাত দেয়া যেতো না। কিন্তু এখন তা ৩০ থেকে ৪০ টাকায় নেমে এসেছে।

আরেক ব্যবসায়ী আমান হোসেন জানান, বেগুন ব্যবসায়ীরা এবার ধরা খাইছে। রমজানের প্রথম দুই দিনে বেগুন নিয়ে যে সিন্ডিকেট হইছিলো তাতে পাবলিক ক্ষেপে গিয়ে বেগুন কেনা কমাইয়া দিছে তাই প্রথম দুই দিনে বেগুন ১২০ টাকা করে পাইকারি বিক্রি হলেও এখন তা প্রকারভেদে মাত্র ১০-৩০ টাকা পাইকারিতে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া ঈদের আগে আর কোন জিনিসের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নাই আশাকরি।

এদিকে মাছের বাজারেও দেখা গেছে একই চিত্র। বাজারে ক্রেতা কম থাকায় এবং মাছের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আগের দামেই পাওয়া যাচ্ছে সকল মাছ।

বাজারে প্রতি কেজি কাচকি পাওয়া যাচ্ছে ৪০০-৬০০ টাকা কেজি। এছাড়া বেলে মাছ ৫০০, ফলি ৫০০, কোরাল ৭০০, পাবদা ৪৫০, লইট্টা ৩০০, বোয়াল ৬০০, আইর ৮০০, রুই ৩৫০, চিতল ৮০০, পাঙ্গাশ ২০০ তেলাপিয়া ২২০, বড় চিংড়ি ১০০০, রুপচাঁদা ১৩৫০, এবং ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা কেজি দরে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর