সুখবর! জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এল ২১ হাজার কোটি টাকা

ব্যাংক বীমা, অর্থনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-31 08:46:40

করোনা মহামারি-পরবর্তী পরিস্থিতি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিভিন্ন কারণে দেশে ডলার সংকট চলছে। এ সময় দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও এক ধরনের চাপা উদ্বেগ বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে সুখবর মিলেছে প্রবাসী আয়ে।

নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ২০ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকার বেশি। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে এসেছে ৬ কোটি ৩১ লাখ ডলারের বেশি। এর আগের মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৬৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রণোদনাসহ নানারকম সুবিধা দিয়ে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের উৎসাহিত করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ধারা অব্যাহত থাকলে দেশে চলমান ডলার সংকটও কেটে যাবে। অন্যদিকে হুন্ডির মাধ্যমেও টাকা পাঠানো কমে যাবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, জানুয়ারিতে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। আগের মাস ডিসেম্বরে এসেছে ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। সে হিসাবে গত মাসের চেয়ে জানুয়ারিতে ২৫ কোটি ৯১ লাখ ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি এসেছে ২৫ কোটি ৪৩ লাখ ডলার। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৭০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার।

আলোচিত মাস জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। এ ব্যাংকটির মাধ্যমে এসেছে ৩৫৪ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর পরেই এসেছে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মাধ্যমে ১২১ দশমিক শূন্য ৩ মিলিয়ন ডলার। এছাড়াও আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ১১৭ দশমিক ১০ মিলিয়ন ডলার এবং সরকারি অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ১০৪ দশমিক ২৪ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

তবে জানুয়ারি মাসে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি রাষ্ট্রায়ত্ত ডিবিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের মাধ্যমে। এছাড়াও বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, বিদেশি হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমেও কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।

চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট) টানা দুই বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স আসে। এর পরের মাস সেপ্টেম্বর থেকে টানা পাঁচ মাস দেড় বিলিয়ন ডলারের ঘরেই ছিল রেমিট্যান্সের প্রবাহ। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। এরপর আগস্টে আসে ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।

এর পরই কমতে থাকে রেমিট্যান্স প্রবাহ, যা দেড় বিলিয়ন বা তার কাছাকাছি চলে আসে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর