সবজির বাজারে আগুন, দাম বাড়ছেই

বিবিধ, অর্থনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 23:38:29

ঢাকা: কোরবানির ঈদের পর থেকেই সবজির বাজারে দর ওঠানামা করছে। গত এক মাস ধরে সবজির বাজারে দর ঊর্ধ্বগতির দিকে ছুটলেও স্থিতিশীল হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। বিক্রেতারা বলেছেন আরও ১ থেকে ২ সপ্তাহ এভাবেই চলবে সবজির বাজার।

সবজির বাজার দর নিয়ে ক্রেতারা অভিযোগ করে জানান, সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই সবজির কেজি প্রতি ৪ থেকে ৫ টাকা মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছে। বিক্রেতারা সুযোগ কাজে লাগিয়ে এমনটা করছেন বলেও অভিযোগ তাদের।

শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রামপুরা ও শাহাজাদপুর কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি ঝিঙা ৭০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, পটল ৪৫ টাকা ও শসা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে প্রতি পিস ফুলকপি ৬০ টাকা, লাউ ৬০ টাকা এবং প্রতি আঁটি শাক ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাড়তি দাম সম্পর্কে শাহাজাদপুরের সবজি বিক্রেতা সুমন বার্তা২৪.কমকে জানান, প্রতি কোরবানির ঈদের পর সবজির চাহিদা কিছুটা বেড়ে যায়। অন্যদিকে ঈদের ফিরতি যাত্রার কারণে রাস্তাঘাটে যানজট হওয়ায় সবজির চালান ঠিকভাবে আসতে পারে না। ফলে দাম বেড়ে যায়।

তবে সবজির বাড়তি দামের কারণ হিসেবে পরিবহন সংকটকে দায়ী করেছেন রামপুরা কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা আবুল হোসেন।

তিনি জানান, জায়গায় জায়গায় ট্রাকের কাগজপত্র চেক করছে পুলিশ। ফলে অনেকেই ভয়ে ট্রাক নিয়ে রাস্তায় বের হচ্ছে না। আর এই কারণে ব্যাপারীরা ট্রাক পাচ্ছে না সবজি ঢাকায় নিয়ে আসার জন্য। ফলে চাহিদা অনুযায়ী জোগান না থাকায় দাম বাড়ছে।

এদিকে ঈদের পর থেকেই স্থিতিশীল রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে সু-বাতাস থাকায় ক্রেতারা কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে।

সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ৩৫ টাকা, দেশি রসুন ৭০ টাকা ও আমদানি করা রসুন ৮০ টাকা, চায়নিজ আদা ১৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া নাজিরশাইল চাল ৭০ টাকা, মিনিকেট ৬২ টাকা, বিআর-২৮ ৫২ টাকা, বিআর-২৯ ৫৫ টাকা, ও স্বর্ণা এবং পারিজা চাল ৪৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে মাছ ও মাংসের বাজারেও স্থিতিশীলতা দেখা গেছে। সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি রুই ২২০ টাকা, কাতল ২০০ টাকা, কার্ফু মাছ ২০০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০, বোয়াল ৩৫০ টাকা ও ইলিশ মাছ বড় আকারের ১৪০০-১৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে মাংসের বাজারের সর্বশেষ খুচরা তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা, কক মুরগি প্রতি পিস ২০০-২২০ টাকা। গরু প্রতি কেজি ৫০০ টাকা ও খাসির মাংস ৭৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শাহাজাদপুর কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা মিলন এই সপ্তাহের বাজার দর নিয়ে বার্তা২৪.কমকে জানান, সবজি ছাড়া অন্য সব পণ্যের দাম কিছুটা হলেও স্বাভাবিক রয়েছে। কিন্তু সবজি ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে দাম বাড়িয়ে ফেলছেন। তারা সব সময়ই সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন। বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে তারা এমন কাজ সহজেই করতে পারছেন। ক্রেতা বান্ধব বাজার ব্যবস্থা এখনো গড়ে ওঠেনি এই শহরে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর