নজরদারিতে আসছে শ্রমিক সংগঠনের আর্থিক লেনদেন

পোশাক শিল্প, অর্থনীতি

ঊর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-31 12:13:51

শ্রম পরিবেশ অশান্ত হয়ে উঠলেই বারবার বিদেশি ষড়যন্ত্রকে দায়ী করে মালিক ও শ্রমিকপক্ষ উভয়ই। যার নেপথ্যে থাকে গোপন আর্থিক লেনদেন। আর তা বন্ধ করতে শ্রম আইন (সংশোধন) ২০১৮ তে শ্রমিক সংগঠনের বিদেশি আর্থিক লেনদেনের ওপর নরজরদারি প্রয়োগ করা হচ্ছে। যাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন খোদ শ্রমিকপক্ষই।

‘শ্রম আইন (সংশোধন) ২০১৮’তে শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে বিদেশি যে কোনো লেনদেনের বিষয়ে সরকারকে অবহিত করার জন্য খসড়া প্রস্তাবনা মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। আগামী সংসদে শ্রম আইন (সংশোধন) ২০১৮ পাস হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই আইন পাস হলে শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে বিদেশি আর্থিক লেনদেনের ওপর নজরদারি প্রত্যক্ষভাবে শুরু হবে।

৩ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘শ্রম আইন (সংশোধন) ২০১৮’তে ৪১টি ধারা সংশোধনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শ্রমিক সংগঠনগুলোর সূত্রে জানা যায়, শ্রমিক সংগঠনগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অর্থ পেয়ে থাকে বিভিন্ন এনজিওর কাছ থেকে। কিন্তু কোনো শ্রমিক সংগঠন কিভাবে অর্থ পায়- তা গোপনই রয়ে যায়। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই গোপনীয়তার আড়ালে থেকে যায় পোশাক শিল্পের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের কথা। তৈরি হয় অস্থিতিশীলনতা, বাধাগ্রস্থ হয় উৎপান। ক্রেতারা কমিয়ে দেন পণ্যের দাম।

ফলে এসব বিষয়ে গার্মেণ্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, এ বিষয়ে আমরা বারবারই সরকারকে বলে আসছিলাম ব্যবস্থা নিতে। প্রতিবার যখন শ্রমিক পরিবেশ অশান্ত হয়ে উঠে তখন বিদেশি শক্তির ইন্ধনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। এই ইন্ধন হয়ই আর্থিক লেনদেনের কারণে। আর যেহেতু আগে শ্রমিক সংগঠনগুলোর বিদেশি অর্থের বিষয়ে কোনো জবাবদিহিতা করতে হয় না- তাই স্বার্থান্বেষী মহলগুলো সহজেই ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়ে যেত। কারণ যেসব অর্থায়নের উদ্দেশ্য নৈতিক- তাদেরতো জবাবদিহিতা করতে সমস্যা থাকার কথা নয়। কিন্তু যারা অসৎ উদ্দেশ্যে অর্থ পাচ্ছে, তাদের নাম সামনে চলে আসবে। তাই আমরা চাই, এই সংশোধন শীঘ্রই পাস হোক।

এ সম্পর্কিত আরও খবর