গোটা ভারতের তৃপ্ত বাসনার সেই প্রতিধ্বনি

, যুক্তিতর্ক

আশরাফুল ইসলাম | 2023-12-07 10:36:23

 

৬ ডিসেম্বর ২০২৩। প্রতি বছরের মতো এবারও নানা আয়োজনে গতকাল বুধবার পালিত হলো ঐতিহাসিক মৈত্রী দিবস-বাংলাদেশ ও ভারতের গভীরতম সম্পর্কের ঐতিহ্যিক পরম্পরার নবউদযাপন। কিছু মানুষের কাছে হয়তো দিনটি আর দু’চারটি দিবসের মতোই কিছু আনুষ্ঠানিকতা আর বক্তৃতার ফুলঝুড়ি। কিন্তু অনেকের কাছেই এদিনটি আরও বেশি কিছু। সমকালীন বিশ্বে তো বটেই গত শতাব্দির বিশ্ব সমীকরণের মারপ্যাচ ডিঙিয়ে এই শতাব্দির দুই দশকও পেরিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ভাতৃত্বপূর্ণ বিরল সম্পর্কের সমান কোন উদাহরণ আজও সৃষ্টি হয়নি! নিন্দুকদের ভাষ্যে এনিয়ে যতো কথাই হোক না কেন, দুই দেশের মৈত্রীময় সম্পর্কের দৃষ্টান্তে আজও কেউ সমকক্ষ হতে পারেনি, এ কথা জোর দিয়েই বলা যাবে।

জীবন্ত হয়ে থাকা অতীতের ইতিহাসই আমাদের এই বিরল সম্পর্কের আখ্যান মেলে ধরবে। বাংলাদেশের জন্য তো বটেই সমগ্র বাঙালি জাতি তথা ভারতবর্ষের জন্য ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চিরকালের গৌরবের প্রতীক। সেই সময়কার জীবন্ত হয়ে থাকা ইতিহাস আমাদের জানাচ্ছে, কী বিস্ময়কর এক ঐক্যে গোটা ভারতবর্ষ সেদিন নিপীড়িত পূর্বপাকিস্তানের পূর্ণ মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য ব্যাকুল হয়েছিল! আমার কাছে অন্ততঃ মনে হয়, অভূতপূর্ব সেই সময়কার ঘটনাপ্রবাহকে স্মরণে আমরা এই সময়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছি না। মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে ভারত যখন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে তখনকার গণমাধ্যমে আমরা খুঁজতে চেষ্টা করি, দুই দেশের এই মৈত্রীময় সম্পর্ক কেনইবা এতো শক্তিশালী?


৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ সাল। স্বীকৃতি প্রদানের পরদিন ‘বাঙলাদেশ মুক্তি পেল/জয়বাংলা ধ্বনির মধ্যে লোকসভায় ঘোষণা’ শীর্ষক শিরোনামে কলকাতার দৈনিক যুগান্তর লেখে, ‘ভারত সরকার আজ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এই স্বীকৃতির ফলে এই উপ-মহাদেশে একটি স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্রিক সাধারণ তন্ত্রের অভ্যুদয় আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হলো।’

‘প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী গান্ধী আজ সকালে সংসদের যুক্ত অধিবেশনে বাঙলাদেশকে স্বীকৃতিদানের গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাটি করেন এবং উভয় সভার সদস্যগণই দাঁড়িয়ে এই ঘোষণাকে স্বাগত জানান। সেইসঙ্গে সংসদ কক্ষে প্রবল হর্ষধ্বনি উত্থিত হয় এবং সদস্যবর্গ উৎসাহ আবেগে মিলিত ধ্বনি তুলেন ‘জয় বাংলা’ ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’।’

ওইদিনই ‘ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক’র ভবিষ্যত নিয়ে যে মন্তব্য করা হয়, আমরা বর্তমানেও তার প্রতিফলন দেখতে পাবো। সেখানে লেখা হচ্ছে, ‘প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরার এই বিশ্বাস যে, ভবিষ্যতে ভারত সরকার ও বাংলাদেশ এবং এই দুই দেশের জনগণ সম-আদর্শ ত্যাগ-ধর্মের অনুসারী বলে এমন সম্পর্ক গড়ে তুলবেন, যার ভিত্তিতে থাকলে পারস্পারিক সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখ-তা, অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করা, সমভাবে পোষণ ও পারস্পারিক কল্যাণ। এই মহৎ লক্ষ্যগুলি বাস্তবে রূপায়িত করতে উভয় রাষ্ট্রই মিলেমিশে কাজ করবেন। আমরা প্রতিবেশি হিসাবে বসবাস করবার একটি সুন্দর দৃষ্টান্ত স্থাপন করব আর এতে এই অঞ্চলের শান্তি স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হয়ে উঠবে।’


আমরা যদি জনগণের ওইদিনের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল তা জানার চেষ্টা করি তবে শ্রদ্ধায় মাথা নোয়াতেই হবে তখনকার জনগণের প্রতি। ‘স্বীকৃতিতে কলকাতায় উল্লাস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে আমরা হৃদয়মথিত সেই প্রতিক্রিয়া জানতে পারছি। তাতে লেখা হচ্ছে, ‘দিল্লিতে লোকসভায় প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানের ঘোষণা এবং শহর কলকাতায় তার জন্য আজ আনন্দ ও উল্লাসের জোয়ারÑদুই-ই ঐতিহাসিক, দুই-ই অভূতপূর্ব। বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানের খবর শহরময় ছড়িয়ে পড়ে, রাস্তায় রাস্তায় আনন্দের বাণ ডাকে। কলেজপাড়ায় ছাত্র-ছাত্রীরা দলে দলে রাস্তায় নেমে পড়েন, আনন্দ করতে করতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে স্লোগান দিতে দিতে মিছিল এগিয়ে চলে। মুজিবর ও ইন্দিরাজীর জয়ধ্বনিতে মিছিল হয় কল্লোলিত। স্বীকৃতিদানের খবরে বহু স্কুল-কলেজ ছুটি হয়ে যায়’

গণমাধ্যমগুলো এক নিরঙ্কুশ ঐক্যে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের সাফল্য অব্যাহত রাখতে সমর্থন যুগিয়ে যায়। ‘স্বাগত বাংলাদেশ’ শীর্ষক সম্পাদকীয় নিবন্ধে যে অভিব্যক্তি ফুটে উঠতে দেখব আমরা তাতে আঁচ করতে পারব, তখনকার বুদ্ধিজীবীরা বাংলাদেশ প্রশ্নে কতোটা আবেগপ্রবণ ছিলেন।


‘সোমবার ৬ ডিসেম্বর। ইতিহাসের এক যুগান্তকারী দিন। অধীর আগ্রহের বাঞ্ছিত অবসান। বাংলাদেশকে কুটনৈতিক স্বীকৃতি দিয়েছেন নয়াদিল্লি। প্রায় আট মাস আগে সার্বভৌম রাষ্ট্ররূপে যার প্রথম আবির্ভাব, আজ তার পূর্ণ অভিষেক সমাপ্ত। নবজাতকের মাথায় কল্যাণ বারি বর্ষণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী। ভারতের পঞ্চান্ন কোটি নরনারীর অন্তরের শুভেচ্ছা মিশান রয়েছে তার সঙ্গে। লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী যখন ঘোষণা করছিলেন ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত তখন আনন্দমুখর হয়ে উঠেছিল পরিষদ কক্ষ। দলমত নির্বিশেষে সবার কণ্ঠ গিয়েছিল মিশে। স্বাগত জানাচ্ছিলেন তারা বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ রাষ্ট্রটিকে। উচ্ছল হৃদয়ের এই সাদর অভিবাদন গোটা ভারতের তৃপ্ত বাসনার প্রতিধ্বনি’

আমরা ভারতের সরকার ও জনগণের এই সহমর্মিতা পরবর্তী কয়েক মাসের ঘটনাপ্রবাহে যেন আরও গতি লাভ করতে দেখব। কারণ স্বাধীন বাংলাদেশের জনক বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের অন্ধ কারাগার থেকে স্বদেশের মাটিতে ফিরিয়ে আনতে ভারতের সরকার এহেন তৎপরতা নাই যা তারা চালাননি। বঙ্গবন্ধু তখন গোটা ভারতের ঘরে ঘরে এক নন্দিত ও বন্দিত নাম।


শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের মর্মস্পর্শী লেখায় আমরা আঁচ পাবো, কি গভীর ভালোবাসায় বঙ্গবন্ধুকে ফেব্রুয়ারি ১৯৭২-এ কলকাতায় আলিঙ্গন করেছিল সাধারণ মানুষ।

‘স্বপ্ন ও জাগরণের নায়ক’ শীর্ষক প্রবন্ধে শ্রী গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘আপনার বিমান সরাসরি ঢাকা উড়ে গেল। যদি নামেন-সেই আশায় আমরা এক লক্ষ মানুষ দমদমের আকাশে তাকিয়ে ছিলাম। আমাদের স্বপ্ন ও জাগরণের নায়ক-বঙ্গবন্ধু আজ আপনি কলকাতায় আসছেন’

‘প্রাক্-স্বাধীনতা যুগে আমরা দীর্ঘদিন ভারত নামক দেশটির যে মানচিত্র ভূগোল পড়তে গিয়ে এঁকেছি তা নানাদিক থেকে বহু মিলনে এক। ভাষা, সঙ্গীত, রুচি, খাবারের অভ্যাস অভিন্ন। আন্তর্জাতিক সীমান্ত তো সেদিনের ব্যাপার’

‘জনগণমন অধিনায়ক হয়েও খালি স্লেটখানি হাতে নিয়ে আপনি রাষ্ট্রপতির আসন থেকে নেমে স্বেচ্ছায় ভোটে বদলানো যায় এমন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। ঢাকায় পা দিয়েই বাঙালীর নয়নের নয়ন নিজের নামের আগে ভালবাসার বিশেষণগুলি নির্মমভাবে ছাঁটাই করেছেন’

‘...এই মিরাকলের সরল জাদুকর আপনি বৈষম্য ঘোচানোর পাঠ নিয়েছেন সহজভাবে। ‘উদয়ের পথে শুনি কার বাণী’ আপনার কণ্ঠেই যেন আবেগ পুষ্প হয়ে ফুটে উঠে’

বঙ্গবন্ধুকে যেভাষায় চিত্রিত করা হয়েছে তা অতুলনীয় বললেও কম বলা হবে..‘আমাদের দেশের যা কিছু জীর্ণ-অন্যের যা-কিছু মহান-এই রোগে আমরা যখন ভুগছিলাম তখন আপনি স্বদেশ, মাতৃভাষাকে স্বস্থানে প্রতিষ্ঠিত করে আমাদের শূন্য মন্দিরে পূর্ণকুম্ভ বসিয়েছেন। আপনি দ্বিজোত্তম। আপনার ভিতরকার উত্তম সংগ্রামের ভিতর যাচাই হয়ে আপনি অর্জন করেছেন। আপনি এই দশকের শ্রেষ্ঠ বাঙালী। আমাদের দুই দেশ ভাষা, ইতিহাস ও সংস্কৃতির বন্ধনে আবদ্ধ।’


বাংলাদেশ ও ভারতের মৈত্রীর যে চিরকালীন বন্ধন তৈরি হয়েছে তার নির্মাতা বঙ্গবন্ধু ও শ্রীমতী গান্ধী। আমরা যদি ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারির দিকে দৃষ্টিপাত করি তবে তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। কলকাতায় পা দিয়ে বঙ্গবন্ধু হৃদয়মথিত যে অভ্যর্থনা লাভ করেন জনগণের কাছ থেকে তার ইতিহাস বহু যুগেও মুছে ফেলা যাবে না। আজকের সম্পর্কের এই ভিত তাদের হাতেই নির্মিত।

তখনকার খবরে, ‘ইতিহাসের মহানায়কের ঐতিহাসিক সম্বর্ধনা/ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউণ্ডে উত্তাল জনসমুদ্র। মহামানবের তীর্থক্ষেত্র-ইতিহাসের অন্যতম মহামিলন কেন্দ্র মহানগরী কলকাতা মাঘের শেষের দুদিনের বর্ষণকে কাটিয়ে উঠে রবিবার রৌদ্রস্নাত হয়ে গঙ্গা আর পদ্মার মিলিত উচ্ছ্বাসে উদ্বেলিত। বিশ্বের মানচিত্রে নতুন স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান আর পূর্বদিগন্তে এই নতুন সূর্যোদয়ের অন্যতম রূপকার আমাদের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী এদিন মহানগরীতে একই সঙ্গে উপস্থিত। দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার পর দুই প্রধানমন্ত্রীকে একই সঙ্গে সম্বর্ধনা।’

‘কলকাতা মহানগরী বারংবার আকাশ বাতাশ মুখরিত করে ধ্বনি তুলছে, ‘ইন্দিরা মুজিব জিন্দাবাদ’ ‘ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী দীর্ঘজীবী হোক’।

কলকাতা ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউণ্ডে আধুনিককালের বিশালতম সমাবেশে দুই প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠেও একই ধ্বনি ‘‘ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী দৃঢ় হোক।’’

‘দুই প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায় একই সুর-জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র আর ধর্মনিরপেক্ষতা-এই দুই রাষ্ট্রের লক্ষ্য ও নীতি। তাই এই বন্ধুত্ব। বিশ্বের কোন শক্তির কোন ষড়যন্ত্র এই মৈত্রীতে ফাটল ধরাতে পারবে না।’

‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী অটুট থাকবে’-বঙ্গবন্ধু। ‘বাংলাদেশের জন্য কর্তব্যই করেছি’ -ইন্দিরা এমন মন্তব্যের ৫ দশক পরে আমরা যথার্থ উপলব্ধি করছি যে যুগস্রষ্টা এই দুই রাজনীতিবিদ কি গভীরভাবে এই সম্পর্কের ভিত রচনা করে গেছেন!

‘ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউণ্ডের ময়দানে বিশাল জনসমাবেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর সম্বর্ধনা ভাষণের প্রত্যুত্তরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান আবেগ-কম্পিত কণ্ঠে বাংলাদেশের মুক্তি-সংগ্রামে ভারত সরকার, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, ভারতের জনগণ ও সেনাবাহিনীর সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, চারটি আদর্শ ও লক্ষ্য-ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রবাদের উপর ভিত্তি করে ভারত আর বাংলাদেশের মৈত্রী গড়ে উঠেছে। এই আদর্শ অনুসরণ করেই এই মৈত্রী গড়ে উঠেছে। এই আদর্শ অনুসরণ করেই এই মৈত্রী চিরকাল অটুট ও অক্ষয় হয়ে থাকবে। কোনো দেশের কোনো চক্রান্ত এই মৈত্রীতে ফাটল ধরাতে পারবে না। এই মৈত্রীর উপর ভিত্তি করেই দুই দেশ তার ভবিষ্যৎকে গড়ে তুলবে সুখ ও সম্বৃদ্ধির পথে’

‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পূর্বে শ্রীমতী গান্ধী বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিশ্বের সমস্ত স্বাধীনতাকামী মানুষকে প্রেরণা দিয়েছে। আদর্শের দিকে লক্ষ্য রেখেই ভারত এই মুক্তিযুদ্ধকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছে, লাভের দিকে লক্ষ্য রেখে নয়। কিন্তু বাংলাদেশের বিজয়ে লাভ হয়েছে ভারতের। ভারত চিরদিন ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য সংগ্রাম করে এসেছে। এই ধর্মনিরপেক্ষতার পথ আরো সুগম হয়েছে।’

সেই সময়কার একটি দৈনিকের সম্পাদকীয় নিবন্ধের এক স্থানে লেখা আছে, ‘বাংলাদেশ রাষ্ট্রিক সীমানায় স্বতন্ত্র দেশ, কিন্তু যেখানে আত্মিক বন্ধন সেখানে এক অভিন্ন সত্তার জীবন্ত প্রকাশ’-আমরা এই লাইনটি উচ্চারণ করে বলতে চাই দুই দেশের অভিন্ন সত্তার জয় হোক। বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী চিরজীবী হোক। জয় বাংলা। জয় হিন্দ। 

লেখক: ইতিহাস গবেষক

এ সম্পর্কিত আরও খবর